মারা যাওয়া দুই ভাই হলেন নাবিল আহমদ (২২) ও তাঁর ছোট ভাই বাদল আহমদ (১৬)। তাঁরা ওই গ্রামের বাচ্চু মিয়ার ছেলে।
ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাদল বেলা তিনটার দিকে বাড়ির বাইরে শৌচাগারে যান। একপর্যায়ে বাদলের মুঠোফোন সেপটিক ট্যাংকে পড়ে যায়। পরে মুঠোফোনটি তুলে আনতে একটি বাঁশের সাহায্যে সে সেপটিক ট্যাংকে নামে। বেশ কিছু সময় পার হলেও সে উঠে না আসায় স্বজনদের মধ্যে উৎকণ্ঠা দেখা দেয়। একপর্যায়ে বাদলকে উদ্ধারের জন্য নাবিল একই বাঁশ দিয়ে সেপটিক ট্যাংকে নামেন। এরপর তিনিও আর উঠে আসেননি। পরে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেওয়া হয়। বিকেল চারটার দিকে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই দুই ভাইয়ের লাশ উদ্ধার করেন।
বড়লেখা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা মুনিম সারোয়ার সন্ধ্যা সাতটার দিকে মুঠোফোনে বলেন, সেপটিক ট্যাংকের বিষাক্ত গ্যাসে দুজনের মৃত্যু ঘটেছে।
বড়লেখা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) দেবদুলাল ধর বলেন, আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই দুই ভাইয়ের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।