উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল খায়ের বলেন, সন্ধ্যা পর্যন্ত সমুদ্র উপকূল থেকে ১৪ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সবাই রোহিঙ্গা বলে শনাক্ত করা হয়েছে।
স্থানীয় জালিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল আমিন চৌধুরী বলেন, নৌকাডুবির ঘটনায় সন্ধ্যা পর্যন্ত ৫৩ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। আরও ১৩ জন রোহিঙ্গা নিখোঁজ রয়েছে বলে জানা গেছে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী পাটোয়ারটেক এলাকার জেলে জলিল আহমদ ও মোস্তাক আহমদ বলেন, বিকেল পাঁচটার দিকে রোহিঙ্গাদের নিয়ে একটি ইঞ্জিন নৌকা আসতে থাকে। তখন উপকূলে বৃষ্টিপাত হচ্ছিল এবং উত্তাল ঢেউয়ে নৌকাটি দুলছিল। একসময় নৌকাটি পাটোয়ারটেক সৈকতের পাথরের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে উল্টে যায়। এতে ১৪ রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় লোকজন সমুদ্র থেকে অন্তত ৫০ জন রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করেছে। আরও কিছু রোহিঙ্গা ভাটার টানে ভেসে গেছে। কিন্তু সন্ধ্যার অন্ধকারে তাদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
উদ্ধার একজন রোহিঙ্গা মো. জাফর (২৬) বলেন, রাখাইন রাজ্যের বুচিডংয়ের মাইডং এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার সকালে ৮০ জন রোহিঙ্গা একটি নৌকায় ওঠে। দুপুরে নৌকাটি টেকনাফের নাফ নদী অতিক্রম করে সেন্ট মার্টিন উপকূলের কাছাকাছি চলে আসে। এ সময় দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টিপাতের কবলে পড়ে নৌকাটি। বিকেল পাঁচটার দিকে উখিয়ার পাটোয়ারটেক উপকূলে এসে নৌকাটি উল্টে যায়। নিখোঁজ রোহিঙ্গার মধ্যে তাঁর পরিবারের চার সদস্য (২ বোন ও ২ ছেলে) নিখোঁজ রয়েছে। স্ত্রী রোকেয়া খাতুন, দুই ছেলে ও দুই বোন নিয়ে তিনি ওই নৌকায় ওঠেন।
ইনানী পুলিশ ফাঁড়ির এসআই স্টালিন বড়ুয়া বলেন, ঝোড়ো হাওয়া অথবা উত্তল ঢেউয়ের ধাক্কায় ট্রলারটি উল্টে যায়। স্থানীয় জেলেদের সহযোগিতায় সন্ধ্যা পর্যন্ত ১৪ রোহিঙ্গার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ রোহিঙ্গার লাশ উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
এর আগে টেকনাফ ও উখিয়ার নাফ নদী ও বঙ্গোপসাগরে ২৩টির বেশি নৌকাডুবির ঘটনায় ১১২ রোহিঙ্গার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে শিশু আছে ৫৮ জন, নারী ৩১ ও পুরুষ ২৩ জন।