স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মাদ নাসিম বলেছেন, বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকার ভালো কাজ করলেও সমালোচনা করা হয়। রাস্তা পারাপারে আইন করা হলেও তার সমালোচনা করছেন অনেকে। কিন্তু আমি সমালোচনায় বিশ্বাস করি। কে কি সমালোচনা করলো তাতে কিছু আসে যায় না। আমরা ভালো কাজ করে যাব। কিন্তু আমাদের বিপরীত জঙ্গিবাদ ও হাওয়া ভবন। তিনি বলেন, ৫ জানুয়ারি নির্বাচন না দেশে জ্বালাও পোড়াও হতো। আর এর নেতৃত্ব দিতেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। নির্বাচনে আসার জন্য খালেদা জিয়াকে প্রধানমন্ত্রী বার বার আহ্বান জানালেও তিনি আসেননি। কারণ তিনি চান দেশে জঙ্গিবাদের সৃষ্টি হোক। জ্বালাও পোড়াও হোক। নির্বাচন হয়েছিল বলেই আজকে কথা বলছে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত জঙ্গি দমনে প্রশংসা করেছে। এখন পাকিস্তান বলেছে বাংলাদেশের কাছ থেকে জঙ্গি দমনের বিষয়টি শিখবে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজের মিলন চত্বরে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত ২৪তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সঙ্গে কথা বলে শহীদ ডা. শামসুল আলম মিলন হত্যা মামলা পূণরুজ্জীবীত করে বিচার করা হতে পারে বলে আশ্বস্ত করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর এ সদস্য। নাসিম বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার হয়েছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চলছে। একজনের ফাঁসির রায় কার্যকর হয়েছে। তাই ডা. মিলন হত্যার বিচারও করতে পারব। বিগত সময়ে বিএনপি জামায়াত জোটসহ বিভিন্ন সরকার এইসব বিচার বন্ধ করে দিয়েছিল। আমরা সব হত্যাকাণ্ডের বিচার করব। কারণ একদিনে সব হত্যার বিচার করা সম্ভব নয়।
নাসিম বলেন, আমরা দেশের দুর্নীতি প্রতিরোধ করেছি। সরকারের মন্ত্রীদের দুদক ডেকেছে। মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুধু গ্রেপ্তারই করা হয়নি তাকে কারাগারের ২৬ নম্বর সেলে রাখা হয়েছে। এখন আমাদের আর কোনো কাজ নেই। আমাদের কাজ শুধু জামায়াত-বিএনপিকে পরাস্ত করা। তাহলেই ডা. মিলনের স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে বলেও জানান তিনি। সংগঠনের সভাপতি ডা. মাহমুদ হাসানের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, ডা. মিলনের মা সেলিনা আক্তার, গণতন্ত্রী পার্টির সভাপতি নুরুর রহমান সেলিম প্রমুখ।