৪১ বলে ফিফটি ছুঁয়েছিলেন। ৫০ থেকে ১০০তে পৌঁছাতে রীতিমতো ছুটলেন মঈন আলী। ৫৩ বলেই পেয়ে গেলেন সেঞ্চুরি। মাঝখানের ১২ বলে তাণ্ডব বয়ে গেল ওয়েস্ট ইন্ডিজের ওপর দিয়ে। মাত্র ১২ বলেই নিজের দ্বিতীয় ফিফটি তুলে নিলেন মঈন। এই অলরাউন্ডারের ঝড়ে ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে ৩৬৯ রান করেছে ইংল্যান্ড। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২৪৫ রানে অলআউট করে পেয়েছে ১২৪ রানের বড় জয়।
মঈন-ঝড়ের ইঙ্গিত মিলেছিল বেশ আগেই। ইনিংসের শুরু থেকেই বাউন্ডারি মারাতেই নজর ছিল তাঁর। তবে পাঁচটি চারের পরও প্রথম ৩৯ বলে ৩৯ রান করেছেন মঈন। আসল ঝড় শুরু হলো ৪৫তম ওভারে। মিগুয়েল কামিন্সকে টানা দুই ছক্কা মেরে পৌঁছালেন ফিফটিতে। পরের তিন বলে ২, ৪, ৬।
আসল ঝড়টা গেল উইন্ডিজ অধিনায়ক জেসন হোল্ডারের ওপর দিয়ে। পরের ওভারের দ্বিতীয় বলে স্ট্রাইক পেলেন মঈন। এবার ছক্কার হ্যাটট্রিক! পরের ওভারেই কামিন্সকে ফিরে পেতেই আবার দুই ছয়। তাতেই পেয়ে গেলেন সেঞ্চুরি, মাত্র ৫৩ বলে। ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের মধ্যে দ্বিতীয় দ্রুততম। ঝড়ের শুরুটা আর এক-দুই ওভার আগে হলেই, ২০১৫ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে জশ বাটলারের ৪৬ বলের রেকর্ডটি আজ ভেঙে যেতে পারত।
মঈন-ঝড়েই মাত্র ২১৭ রানে ৬ উইকেট হারিয়েও ৩৬৯ রানের পাহাড় গড়তে পারল ইংল্যান্ড। ৫৭ বলে ৭ চার ও ৮ ছক্কা মেরে ১০২ রানে আউট হয়েছেন এই অলরাউন্ডার। কিন্তু এর আগেই দল সাড়ে তিন শ পেরিয়ে গেছে। এর আগে ৭৯ বলে ৮৪ রান করেছেন জো রুট, ৬৩ বলে ৭৩ রান বেন স্টোকসের। শেষ ১০ ওভারে ১২৩ রান করেছে ইংল্যান্ড। মানে প্রথম ৪০ ওভারে যে রান করেছিল, এর অর্ধেক রান শেষ ১০ ওভারেই তুলে নিয়েছে দলটি!
এত বড় লক্ষ্যে ক্রিস গেইল ছাড়া আর কারও ব্যাট হাসেনি। লিয়াম প্লাঙ্কেট (৫ উইকেট) ও আদিল রশিদের (৩ উইকেট) সামনে হোঁচট খেয়েছে ক্যারিবীয় ইনিংস। শুধু গেইলকেই থামাতে পারেননি এ দুজন। এই ওপেনারের ৭৮ বলে ৯৪ রানের ইনিংসটি শেষ হয়েছে রান আউটে। গেইলের ইনিংসে ছিল ৯ চার ও ৬ ছক্কা।