নিউইয়র্ক: সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে রাজনৈতিকভাবে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের জন্য জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলমানদের প্রতি সহিংসতা ও তাদের জাতিগতভাবে নিধন বন্ধে পদক্ষেপ নিতে অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন (ওআইসি) প্রতিও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নিউইয়র্কে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
সংবাদ সম্মেলনে শেখ হাসিনা জানান, নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭২তম অধিবেশনে আলোচনায় তিনি রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আলোচনা করেছেন। সেই সঙ্গে তিনি এই সমস্যা সমাধানের জন্য বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। নিউইয়র্ক সফরে তিনি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে অংশ নেওয়ার পাশাপাশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। এ ছাড়া জাতিসংঘের মহাসচিবের কাছে তিনি রোহিঙ্গা সংকট রাজনৈতিকভাবে নিরসনের লক্ষ্যে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
শেখ হাসিনা বলেন, সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে তিনি মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলমানদের প্রতি সহিংসতা ও তাদের জাতিগতভাবে নিধন বন্ধে পদক্ষেপ নিতে অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন (ওআইসি) প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। মিয়ানমার সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টির কথা বলেছেন।
প্রধানমন্ত্রী জানান, জাতিসংঘের অধিবেশনে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে তিনি বাংলাদেশের পক্ষ থেকে পাঁচটি প্রস্তাব তুলে ধরেন। দফাগুলো হলো- প্রথমত, অনতিবিলম্বে এবং চিরতরে মিয়ানমারে সহিংসতা ও ‘জাতিগত নিধন’ নিঃশর্তে বন্ধ করা; দ্বিতীয়ত, অনতিবিলম্বে মিয়ানমারে জাতিসংঘের মহাসচিবের নিজস্ব একটি অনুসন্ধানী দল (Fact Finding Mission) প্রেরণ করা; তৃতীয়ত, জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সকল সাধারণ নাগরিকের নিরাপত্তা বিধান করা এবং এ লক্ষ্যে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে সুরক্ষাবলয় (safe zones) গড়ে তোলা; চতুর্থত, রাখাইন রাজ্য হতে জোরপূর্বক বিতাড়িত সব রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারে তাদের নিজ ঘরবাড়িতে প্রত্যাবর্তন ও পুনর্বাসন নিশ্চিত করা; পঞ্চমত, কফি আনান কমিশনের সুপারিশমালার নিঃশর্ত, পূর্ণ এবং দ্রুত বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা।’