অবৈধ অভিবাসী বিতাড়নে এবার ব্যাংক হিসাব জব্দ করার নিয়ম চালু হচ্ছে যুক্তরাজ্যে। আগামী জানুয়ারি থেকে অবৈধ অভিবাসীদের ব্যাংক হিসাব বন্ধ বা স্থগিত (ফ্রিজ) করে দেওয়া হবে। প্রতি চার মাস অন্তর ব্যাংকগুলোর কাছে অবৈধ অভিবাসীদের তালিকা দেবে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (হোম অফিস)। সেই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত গ্রাহকদের হিসাব বন্ধে ব্যবস্থা নিতে বাধ্য থাকবে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো।
অভিবাসীদের অধিকার নিয়ে কাজ করে এমন সংগঠনগুলো উদ্বেগ প্রকাশ করে বলছে, নতুন এই নিয়মের ফলে বৈধ অভিবাসীরাও নানা হয়রানির শিকার হবে।
অবৈধ অভিবাসীরা যাতে স্বেচ্ছায় যুক্তরাজ্য ত্যাগে বাধ্য হয়, সেই পরিস্থিতি তৈরি করতে ২০১৬ সালে প্রণীত আইনের অংশ হিসেবেই এই নিয়ম চালু হচ্ছে। ২০১৪ সালে দেশটিতে আর্থিক হিসাব খোলার ক্ষেত্রে অভিবাসন তথ্য যাচাইয়ের নিয়ম চালু করা হয়।
যুক্তরাজ্যে অবৈধ অভিবাসীদের বসবাস কঠোর করতে ইতিমধ্যে বাড়িভাড়া, চাকরি ও চিকিৎসাক্ষেত্রে অভিবাসন বৈধতা যাচাইয়ের নিয়ম চালু আছে।
আজ শুক্রবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, অবৈধ অভিবাসীদের বিতাড়নের দায়িত্বে থাকা প্রতিষ্ঠান ‘সিফাস’ অবৈধভাবে বসবাসকারী অভিবাসীদের তালিকা আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে দেবে। আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো সেই তালিকায় থাকা গ্রাহকদের হিসাব বন্ধ বা স্থগিত করবে।
গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতি চার মাস অন্তর প্রায় সাত কোটি হিসাবগ্রহীতার অভিবাসন তথ্য যাচাই করে দেখতে হবে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে।
টিএসবি ব্যাংকের বোর্ড সদস্য ফিলিপ অগার একসময় হোম অফিসে কাজ করতেন। নতুন নিয়মের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বিবিসিকে বলেন, এ নিয়ম বাস্তবায়ন করতে গিয়ে বৈধ অভিবাসীরা হয়রানির শিকার হবে। কেননা, নামের মিল বা ভুল করে বৈধ অভিবাসীদের হিসাব বন্ধ করে দেওয়ার ঘটনা ঘটতে পারে।
হোম অফিস বলছে, নিয়মটি ‘কঠোর’ তবে ‘ন্যায্য’। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (হোম সেক্রেটারি) অ্যাম্বার রাড বলেন, যাদের কোনো আপিল অধিকার নেই এবং অবৈধ উপায়ে অবস্থান করছে, কেবল তাদের তালিকা আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে সরবরাহ করা হবে।