তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হতে হলে জনগণের ভোট পেতে হবে

Slider জাতীয় রাজনীতি

1ffe13613411a8f3c3c77325ea226710-58d2e7910b1cb

নিউইয়র্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবিপ্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘সামনেই নির্বাচন আসছে। আমাকে তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হতে হলে জনগণের ভোট পেতে হবে। জনগণ যেন পছন্দের প্রার্থী বাছাই করতে পারে, তা নিশ্চিত করতে চাই।’

যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দেওয়া নাগরিক সংবর্ধনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন। স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার রাতে ম্যানহাটনের ম্যারিয়ট হোটেলে এই আয়োজন করা হয়। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭২তম অধিবেশনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন যুক্তরাষ্ট্রে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি গণতন্ত্রের ভীত মজবুত করে দেশকে এগিয়ে নিতে চান। আগামী নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি তাঁর ভাগনি যুক্তরাজ্যের এমপি টিউলিপ রেজওয়ানা সিদ্দিকের উদাহরণ টেনে বলেন, ‘জনপ্রিয়তা কীভাবে বাড়াতে হবে, তা আমি আমার সংসদ সদস্যদের বলেছি। বড় গাড়ি, বাড়ি, টাকা দিয়ে ভোট পাওয়া যাবে না, জনগণের মন জয় করেই নির্বাচনে জিততে হবে।’

*প্রধানমন্ত্রী গণতন্ত্রের ভীত মজবুত করে দেশকে এগিয়ে নিতে চান
*গাড়ি, বাড়ি, টাকা দিয়ে ভোট পাওয়া যাবে না, জনগণের মন জয় করে জিততে হবে
* বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘের সাধারণ সভাসহ নিউইয়র্কে তাঁর ব্যস্ততার কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘প্রবাসীদের ভালোবাসা আর উচ্ছ্বাস দেখে সব ক্লান্তি দূর হয়ে গেছে।’ তাঁর প্রতি প্রবাসীদের ভালোবাসার উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, জনগণের এ ভালোবাসাই তাঁকে প্রেরণা জোগায়।

দেশে দারিদ্র্যের হার কমেছে—উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়েছে। প্রতিটি খাতে দেশের উন্নয়নের সংক্ষিপ্ত চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘এক সময় আমাদের যারা ক্ষুধা আর ভিক্ষুকের দেশ মনে করত, এখন তারা সম্মানের চোখে দেখে। বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেলে উন্নীত হয়েছে।’

যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান সংবর্ধনায় সভাপতিত্ব করেন। এতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রীর ছেলে ও তথ্যপ্রযুক্তি-বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা।

সজীব ওয়াজেদ জয় তাঁর বক্তব্যে বলেছেন, ‘প্রযুক্তি খাতে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা এখন বিশ্বের মধ্যে দ্বিতীয়। বাংলাদেশে এখন খাদ্যের অভাব নেই, বিদ্যুতের অভাব নেই। আমরা এখন পাশের দেশের নাগরিকদের সাহায্য করার কথা গর্বের সঙ্গে বলতে পারি।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *