ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁও জেলার রানীশংকৈল উপজেলার রাতোর ইউনিয়নের ভেলায় গ্রামের তোফাজুল হকের মেয়ে মুক্তা রানীর (২১) মরদেহ বাড়ির পাশে ধানক্ষেত থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।
রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে এলাকাবাসী বাড়ির পাশে ধানক্ষেতে মুক্তা রানীর মরদেহ দেখতে পেয়ে রানীশংকৈল থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।
পারিবারিকসূত্রে জানা যায়, গতকাল শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে মুক্তা রানী পরীক্ষা দেওয়ার উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হয়। কিন্তু দুপুর গড়িয়ে বিকেল, বিকেল গড়িয়ে রাত হয়ে গেলেও মুক্তা বাসায় না ফেরায় চিন্তিত হয়ে পড়ে পরিবারের লোকজন। গতরাতেই অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে কোথাও পাওয়া যায়নি।
সকালে এলাকাবাসী মুক্তার মরদেহ ধানক্ষেতে পড়ে থাকতে দেখে তার বাবাকে খবর দেয়। পুলিশকে জানানো হলে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।
মুক্তা রানীর বাবা তোফাজুল হক অভিযোগ করে বলেন, আমার বোনের দুই ছেলে সোহাগ ও সবুজ এবং রাজবাড়ির বিলপাড় গ্রামের মিলন আমার মেয়ে হত্যার সঙ্গে জড়িত।
রানীশংকৈল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা আব্দুল মান্নান বলেন, মুক্তা রানী নামের কলেজ পড়ুয়া এক মেয়ের মরদেহ তার বাড়ির পাশের ধানক্ষেত থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। মেয়ের বাবা বেশ কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত আসামিদের গ্রেফতার করা হবে।
এস. এম. মনিরুজ্জামান মিলন