নির্দেশনার ব্যাপারে জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া অতিথি (বোর্ডার) রাখার ক্ষেত্রে আবাসিক হোটেলগুলোকে যেসব নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, তা মানতে হবে। না মানলে হোটেলমালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ডিএমপি কমিশনারের নির্দেশনা-সংবলিত চিঠি ইতিপূর্বে আবাসিক হোটেলগুলোকে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট থানার ওসিরা।
আট দফা নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে: হোটেলে আসা সব অতিথির (বোর্ডার) নাম-ঠিকানা লেখার পাশাপাশি তাঁদের ছবি তুলে রাখতে হবে। অতিথির পাসপোর্ট বা ড্রাইভিং লাইসেন্সের কপি, ফোন নম্বর রাখতে হবে। ফোন নম্বরে তাৎক্ষণিক কল করে নিশ্চিত হতে হবে নম্বরটি ঠিক আছে কি না। হোটেলে আর্চওয়ে রাখতে হবে এবং এর ভেতর দিয়ে অতিথিকে নিতে হবে। আর্চওয়ে না থাকলে মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তল্লাশির ব্যবস্থা করতে হবে। অতিথি যতবার হোটেলে প্রবেশ করবেন, ততবারই তাঁকে তল্লাশি করতে হবে। সব লাগেজ স্ক্যানার দিয়ে তল্লাশি করতে হবে। অতিথির সঙ্গে কেউ দেখা করতে এলে তাঁকে ও তাঁর ব্যাগ তল্লাশি করতে হবে। ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা সচল রাখতে হবে। যানবাহন তল্লাশির (ভেহিক্যাল) স্ক্যানার দিয়ে গাড়িও তল্লাশি করতে হবে।
কমিশনারের চিঠিতে বলা হয়, পান্থপথের হোটেলে নিহত জঙ্গি বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক নিয়ে ওই হোটেলে অবস্থান করছিলেন। জাতীয় শোক দিবসের শোভাযাত্রায় আত্মঘাতী হামলার পরিকল্পনা ছিল না। এতে আরও বলা হয়, ঢাকা মহানগরকে জঙ্গিমুক্ত করার অংশ হিসেবে ঢাকায় বসবাসরত ভাড়াটেদের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। এই ব্যবস্থায় জঙ্গি তৎপরতাসহ নানা ধরনের অপরাধ প্রবণতা কমে যাবে। কিন্তু রাজধানীর আবাসিক হোটেলে আগতদের তথ্য সংগ্রহ, তাঁদের শরীর ও লাগেজ তল্লাশি ইত্যাদি কার্যক্রম সচল না থাকলে সন্ত্রাসীরা নির্বিঘ্নে আবাসিক হোটেলগুলোতে আশ্রয় নেওয়ার সুযোগ পাবে।
জানতে চাইলে ঢাকা মহানগরের তেজগাঁও থানার ওসি মো. মাজহারুল ইসলাম বলেন, তেজগাঁও এলাকার আবাসিক হোটেলগুলোতে ডিএমপি কমিশনারের নির্দেশনা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। হোটেলমালিকেরা তা মানতেও শুরু করেছেন। দারুস সালাম থানার ওসি সেলিমুজ্জামান বলেন, আবাসিক হোটেলগুলো নির্দেশনা মানছে কি না, থানা-পুলিশ তা পর্যবেক্ষণ করছে।