ঢাকা: গত মৌসুমে তাঁকে দেখা যায়নি মাঠে। এর আগের মৌসুমে কাটার আর ইয়র্কারগুলো দেখা গিয়েছিল ঢাকা ডায়নামাইটসের জার্সিতে। এবার অবশ্য উত্তরে যাচ্ছেন মোস্তাফিজুর রহমান। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) প্লেয়ার ড্রাফটে প্রথমে ডাকার সুযোগ হাতছাড়া করেনি রাজশাহী কিংস। প্রথমেই আইকনদের বাইরে থাকা সবচেয়ে মূল্যবান খেলোয়াড়টিকে নিয়ে নিয়েছে রাজশাহী। ‘এ প্লাস’ শ্রেণিতে থাকা বাঁহাতি পেসারকে রাজশাহী পেয়েছে ৪৫ লাখ টাকায়।
রাজশাহী এবার নতুন করে দল সাজাচ্ছে। আইকন মুশফিকুর রহিমকে অধিনায়ক করা হয়েছে আগেই। মোস্তাফিজও যুক্ত হলেন এবার। সঙ্গে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের উইকেটরক্ষক জাকির হোসেনকেও নিয়েছে দলটি। তবে মোস্তাফিজের জন্য সবচেয়ে স্বস্তির ব্যাপার, মেহেদী হাসান মিরাজকে ধরে রেখেছে রাজশাহী। অনূর্ধ্ব-১৯ ও জাতীয় দলের পর এবার বিপিএলেও পেস ও স্পিন আক্রমণের নেতৃত্বভার দুই বন্ধুর কাঁধে।
সাকিব, তামিম, মুশফিক, মাশরাফি, মাহমুদউল্লাহ, সৌম্য, সাব্বির—এই সাত আইকন খেলোয়াড়কে আগেই বেছে নিয়েছে সাত দল। আইকন হিসেবে বরিশাল বুলস দলে টেনেছিল মোস্তাফিজকেও। তবে আর্থিক অব্যবস্থাপনার দায়ে বরিশালের ফ্র্যাঞ্চাইজিকে শেষ মুহূর্তে নিষিদ্ধ হতে হয়েছে। আইকন মর্যাদা হারিয়ে এখন তাই একমাত্র ‘এ প্লাস’ ক্যাটাগরির ক্রিকেটার হয়ে ড্রাফটে উঠেছেন মোস্তাফিজ।
ড্রাফটের প্রথম রাউন্ডে স্থানীয় খেলোয়াড়দের মধ্যে আবু হায়দার ও জহিরুল ইসলামকে নিয়েছে ঢাকা ডায়নামাইটস। খুলনা টাইটানস নিয়েছে নাজমুল হোসেন ও আবু জায়েদকে। চিটাগং ভাইকিংস নিয়েছে সানজামুল ইসলাম ও আল আমিন জুনিয়রকে। শাহরিয়ার নাফীস ও নাজমুল অপু খেলবেন রংপুর রাইডার্সের হয়ে। সিলেটে আবুল হাসান ও শুভাগত হোম। কুমিল্লা নিয়েছে আরাফাত সানি ও পেসার আল আমিনকে।