নিউ ইয়র্ক: মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে চলা হত্যাকান্ড বন্ধে জাতিসংঘ সদর দফতরের সামনে জুম্মার নামাজ আদায় ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে নিউ ইয়র্কের বেশ কয়েকটি মানবাধিকার ও সামাজিক সংগঠন।
মুসলিম লিডারশীপ কাউন্সিল ইন নিউ ইয়র্ক আয়োজিত এ সমাবেশ জুম্মার নামাজে হাজির হন হাজারো জনতা। এসময় শ্লোগানে শ্লোগানে মূখরিত হয়ে উঠে পুরো জাতিসংঘ চত্ত্বর। ‘আপ আপ রোহিঙ্গা, ডাউন ডাউন সূচী’ ‘রোহিঙ্গা রাইটস আর হিউম্যান রাইটস’ ‘স্টপ স্টপ জোনোসাইড’ ইত্যাদি শ্লোগান ভেসে আসে বিক্ষোভকারীদের কন্ঠে।
প্রথমেই জাতিসংঘের সামনে জুম্মার নামাজ পূর্ব খোতবা প্রদান করেন ইমাম বাকী। তার পর জুম্মার নামাজের ইমামতি করেন ইমাম মাওলানা দেলোয়ার হোসেন। তারপরই শুরু হয় বিক্ষোভ সমাবেশ ।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মুসলিম লিডারশীপ কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ড. আবদুল হাফিদ , ওয়ার্ল্ড রোহিঙ্গা অর্গানাইজেশনের প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ মহিউদ্দিন , বার্মা টাস্ক ফোর্সের পরিচালক আদম ক্যারল, বাংলাদেশি আমেরিকান এডভোকেসি গ্রুপের পরিচালক শাহানা মাসুম, সাউথ এশিয়ান সলিডারিটি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ইমরান আনসারী প্রমূখ।
এসময় ড. আবদুল হাফিদ বলেন, মানবতার এতো বিপর্যয় পৃথিবী আর কখনো দেখিনি। অবিলম্বে মিয়ানমারে চলা গণহত্যা বন্ধ করতে হবে। শুধুমাত্র মুসলমান হবার কারণেই তাদের উপর আজকে এ বর্বর হামলা।
মুহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, রাখাইনে ৫০ শতাংশ লোকে বাড়িঘর জালিয়ে দেয়া হয়েছে। এ জ্বালানো অব্যাহত রয়েছে। এই হিং¯্রতা বন্ধে যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।
আদম ক্যারল বলেন, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে রক্ষায় কার্যকর সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
সাহানা মাসুম বলেন, সেনাবাহিনীর প্রধান টার্গেট রোহিঙ্গা নারীরা। যারা বেঁচে বাংলাদেশে এসেছেন তাদেরকে রক্ষায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ক মনোনিবেশ করতে হবে।
ইমরান আনসারী বলেন, রাখাইনে হামলা বন্ধে নিরাপত্তা পরিষদের অবিলম্বে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে হবে। সংকট সমাধানে সাধারণ অধিবেশনে বিশেষ রেজ্যুলেশ গ্রহন করতে হবে।
বিক্ষোভ সমাবেশে সংহতি প্রকাশ করে ইসলামিক সার্কেল অব নর্থ আমেরিকা, , মুসলিম উম্মাহ অব নর্থ আমেরিকা, বার্মা টাস্ক ফোর্স , বাংলাদেশ সোসাইটি, সাউথ এশিয়ান সলিডারিটি ফাউন্ডেশন, ডেসিজ রাইজিং আপ এন্ড মুভিং, এমএনএ নিউ ইয়র্ক, জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টার, কেয়ার নিউ ইয়র্ক, ম্যাস নিউ ইয়র্ক সহ আরো বেশ কয়েকটি নাগরিক সংগঠন।