শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল আনুমানিক ৮টা ২০ মিনিটে লন্ডনের দক্ষিণ-পশ্চিম অংশের ফুলহাম এলাকায় ‘পারসনস গ্রিন’ স্টেশনে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। স্টেশনটিতে থামার পর ডিসট্রিক্ট লাইনের একটি বগিতে হঠাৎ বিস্ফোরণের শব্দে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় কাজে ছোটা মানুষে ভর্তি ছিল ট্রেনটি। পুলিশ জানায়, ঘটনার পাঁচ মিনিটের মধ্যেই পুলিশের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য, চিকিৎসক দল এবং দমকল বাহিনীর কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।
লন্ডন অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস জানিয়েছে, তাঁরা মোট ১৮ জনকে হাসপাতালে নিয়ে গেছে।
প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে এক টুইট বার্তায় ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। যাঁরা ঘটনা-পরবর্তী জরুরি সেবায় নিয়োজিত, তাঁদের সাহসের প্রশংসা করেছেন। পরিস্থিতি পর্যালোচনায় স্থানীয় সময় দুপুরে সভা করেছে যুক্তরাজ্যের জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক সর্বোচ্চ কমিটি ‘কোবরা’।
সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে লন্ডন মেয়র সাদিক খান বলেছেন, লন্ডন কখনো সন্ত্রাসবাদের কাছে হার মানবে না বা ভীত হবে না।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও চিত্রে দেখা যায়, একটি ব্যাগের ভেতরে থাকা সাদা একটি বালতিতে আগুন জ্বলছে। তবে আশপাশে তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে বোঝা যাচ্ছে না। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, ব্যাগের ভেতরে থাকা এই বালতিতেই বিস্ফোরণ ঘটেছে। ডেইলি মেইলের সংবাদে এটিকে ঘরোয়াভাবে তৈরি বোমা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, বালতিতে ঠিক কী ছিল এবং কেন আগুন ধরেছে, তা এখনই তাঁরা বলতে পারছেন না।
বিস্ফোরণের শব্দ আর ধোঁয়ায় আতঙ্কিত হয়ে লোকজন ছোটাছুটি শুরু করে। এতে পদদলিত হয়েই বেশির ভাগ লোক আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য অনুযায়ী, তাঁরা অন্তত একজনের মুখমণ্ডল আগুনে পুড়ে গেছে বলে দেখেছেন।
স্থানীয় সময় বেলা ১১টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, পারসনস গ্রিন স্টেশনের আরও তিন স্টপ আগে ‘আর্লসকোর্ট’ স্টেশন থেকে পশ্চিমমুখী ট্রেন বন্ধ রাখা হয়েছে। পুলিশি নিরাপত্তাবেষ্টনী টেনে আটকে দেওয়া হয়েছে পারসনস স্টেশনের সব প্রবেশপথ। স্টেশনের আশপাশে একধরনের থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করলেও স্বাভাবিক আছে জীবনযাত্রা। পুলিশের ব্যাপক উপস্থিতি দেখা গেছে।