কোথায় যাবে
—– সাদিয়া তাহমিন মিশু
যখন ভোর হয়,
সুনির্মল হাওয়ায় এসে তুমি ছুঁয়ে দাও এ কপাল
সুকুমার রোদ হয়ে দাঁড়ায়ে থাক মনের জানালায়
ডাক দাও আমায়- নাট্যকারের ভাষার ভঙ্গিমায়
আমি দুলে উঠি জোছনা স্নাত ঢেউয়ের দোলায়।
অলস দুপুর বেলা-
মেঘের মায়ায় চলে আস তুমি আমার সীমানায়
অপূর্ব ভালবাসায় বিছায়ে দাও ছায়ার গালিচা
প্রাণের ‘পরে নেচে যাও- অমিয় সুরের মূর্চ্ছনায়
আমি ভাবনাহীন, উদাসীন- মৈরেয়ী মাদকতায়।
প্রশান্ত গোধুলিতে-
আবীর ডানায় ভেসে তুমি ছুঁয়েছ সরল অনুভব
অধরে- চিবুকে সোহাগেই আঁক চন্দন আলপনা-
বাসন্তী রঙে- শরৎ উচ্ছল- শুভ্র কাশের মায়ায়
আমি উন্মাদ ডানপিটে প্রজাপতির চঞ্চলতায়।
মায়াবী সন্ধ্যা বেলা-
নীড়ে ফেরা পাখির উন্মাদ কূজনে ভরে দাও মন
অবারিত কপালে পরাও যতনে সন্ধ্যাতারার টিপ-
শিকারী ও ঠোঁটের নেশাডুব এক দূরন্ত দস্যিপনায়
আমি কেঁপে উঠি- প্রমত্ত খুশির চরম বিহবলতায়।
যখন ঘনঘোর রাত-
অমল জোছনার সুকুমার পরশে ছুঁয়ে যাও চোখ
আবেশে ছড়াও ঘুম কাতর ফুলের বাঁধহীন সুবাস
কখনো আসো যুবক জোনাকির প্রেম কাতরতায়
আমি হারাই সহসা নির্মল সুখের উষ্ণ উপত্যকায়।
তুমি যে মিশে আছ-
আমার সব আবেগে- আবেশে- অনুভবে- চেতনায়
তুমি ঘুমাও গোপনে- উপমা শয্যায় শব্দের বালিশে
আমার গল্পে, আমার গানে, আমার সকল কবিতায়
বলতো মিছে অভিমানে- তুমি কি করে যাবে কোথায়!