১০০ বছর পর প্যারিসে ফিরছে অলিম্পিক

Slider সারাদেশ সারাবিশ্ব
১০০ বছর পর প্যারিসে ফিরছে অলিম্পিক


সিটি অব লাইটস নামে পরিচিত ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিস। বিশ্বজোড়া খ্যাতি এ শহরের, রয়েছে আইফেল টাওয়ারের মতো ঝমকালো স্থাপনা।

এই শহরেই প্রায় ১০০ বছর আগে অনুষ্ঠিত হয়েছিল বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রীড়া আসর অলিম্পিক। আর ১৯০০ এবং ১৯২৪ সালের পর ফের এ অলিম্পিকের আসর বসতে চলেছে নেপোলিয়ন বোনাপার্টির শহরে।২০২৪ সালে অলিম্পিক প্রতিযোগিতা আয়োজনের সরকারি অনুমতি পেল ফ্রান্সের ঐতিহ্যবাহী শহরটি। অর্থাৎ প্রায় ১০০ বছর পর ফের একবার সেখানে অলিম্পিকের আসর বসবে।

বুধবার পেরুর রাজধানী লিমায় আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি এই ঘোষণা দিয়েছে। এছাড়া, ২০২৮ সালে লস অ্যাঞ্জেলসে বসবে পরবর্তী অলিম্পিকের আসর।

এর আগে ২০০৮ এবং ২০১২ সালে অলিম্পিক আয়োজনের জন্য বিড করেও অল্পের জন্য ব্যর্থ হয়েছিল প্যারিস। আর এবার আয়োজনের লড়াই ছিল লস অ্যাঞ্জেলসের সঙ্গে। কারণ হ্যামবুর্গ (জার্মানি), রোম (ইটালি), বুদাপেস্ট (হাঙ্গেরি) আগেই লড়াই থেকে সরে দাঁড়িয়েছিল।

এদিকে, প্রাথমিকভাবে লস অ্যাঞ্জেলসও ২০২৪-এর অলিম্পিক আয়োজন করতে চেয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীকালে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক সংস্থার কাছ থেকে ২০২৮ অলিম্পিক আয়োজনের সম্মতি মেলায় সরে দাঁড়ায় তারা এবং আর এরপরই প্যারিসের নাম ঘোষণা করা হয়। ১৯২৪ সালে শেষবার ‘দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’-এর আসর বসেছিল সেখানে। পাশাপাশি ২০২৪-এর পর শহরের বেশিরভাগ অংশে কাজ চলবে। তাই ২০২০ সালে টোকিও-র পর অলিম্পিকের আয়োজনের দায়িত্ব পাওয়ার জন্য মরিয়া ছিল প্যারিস।

জানা গেছে, বুধবারের ঘোষণার আগেই আইফেল টাওয়ারের সামনে বসানো হয়ে গিয়েছে অলিম্পিকের লোগো। ঠিক হয়েছে ট্রায়াথলন, ম্যারাথন এবং ওপেন ওয়াটার সাঁতার হবে আইফেল টাওয়ার নিকটস্থ স্থানেই। এছাড়া বিচ ভলিবল খেলা হবে চ্যাম্পস দে মার্স-এ। শুধু তাই নয়, সাইক্লিং প্রতিযোগিতা শেষ হবে চ্যাম্পস-এলিসিসে। এখানেই বিখ্যাত সাইক্লিং প্রতিযোগিতা ‘ট্যুর দে ফ্রান্স’-এর অন্তিম পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।

এর পাশাপাশি অ্যাথেলিটক্সের জন্য বাছা হয়েছে স্টাডে ডে ফ্রান্স স্টেডিয়ামটিকে। যেখানে অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৯৮ বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনাল এবং ২০১৬ সালের ইউরো কাপের ফাইনাল। এদিকে, ১৯৩২ এবং ১৯৮৪ সালে অলিম্পিকের আসর বসেছিল আমেরিকার লস অ্যাঞ্জলসে। তাই তাঁদের আয়োজকরা ২০২৮ সালে অলিম্পিক সফলভাবে আয়োজনের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী। কারণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কাজ মোটামুটি পুরো করা রয়েছে তাঁদের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *