“নন্দিত শূণ্যতা”
———রাফেজা ইমরোজ
শূণ্যতায় ভুগছি একি সত্য?
শূণ্য বুকে যে জমাট বাঁধা
চেনা চিহ্নের চেনা শব্দের আস্তরণ!
তবে কি নাম দেবো শূণ্যতার?
যখন একলা মনে একলা ক্ষণে
একলা ভাবনায় একলা যাতনার
প্রহরগুলি মুখরিত করে রাখে
সব থেকে বেশী চিরচেনা মানুষটির অকপট আগমন,
তবে শূণ্যতার কি নাম দেই বলতো?
শূণ্য প্রহরে নিথর প্রাণের গহ্বরে
অস্তিত্বমান দেহখানি জুড়ে চেনা গায়ের গন্ধ
চারপাশ যাকে ধরে রাখে একলা ভুবন
শূণ্য তখন থাকে বলো তো কি করে?
শূণ্যতার আসলে কি রূপ বলতো?
শূণ্যতার পেয়ালায় চুমুক দিতেই
চেনা মুখের মনোহর রূপের সুধা
মাতাল করে যখন একলা মনের পুরোটা অনুভূতি?
আমি অঘোম শূণ্যতায় পূর্ণ থাকি
চেনা মানুষটাকে নিয়ে আমি
আমাবস্যার ঘন অন্ধকারে জ্যোৎস্না স্নানে
রোমাঞ্চিত হই চেনা মানুষটিকেই ছুঁয়ে ছুুঁয়ে…
আমার শূণ্যক্ষণের পুরো পৃথিবী
ভরপুর থাকে চেনা স্পর্শ,
চেনা ভালোবাসার স্মৃতি মন্থনে..
শূণ্যতার সবটুকু ঘিরেই যদি আঁকি
চেনা মুখের জলছবি তবে কি করে বলি
“আমি শূণ্যতায় ভুগছি”
এ যে বড় মিথ্যে বলা সত্যমনে
যার বাস তাকে কি করে মিথ্যের আড়ালে ঢাকি?
শূণ্যতাকে বিলাস করি,
অভিলাষী মন নিন্দায় তারে পারেনা কভু জড়াতে,
ও আমার “নন্দিত শূণ্যতা”
পূর্ণতার জোয়ার বয়ে আসে নিরাশার দহন
কালে আহত হৃদয় সৈকতে…।