কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি অ্যাসোসিয়েশনের মাধ্যমে সমন্বিতভাবে সব রাষ্ট্রের সঙ্গে বলিষ্ঠ যোগসূত্রের মধ্য দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি এসোসিয়েশন-সিপিএ নির্বাহী কমিটির চেয়ারপার্সন নির্বাচিত হওয়ায় বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের পক্ষ থেকে তাঁকে দেওয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে স্পিকার এ কথা বলেন। আজ দুপুরে সংসদ ভবনের শপথ কক্ষে স্পিকার ও সিপিএ নির্বাহী কমিটির চেয়ারপার্সনকে এ সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে স্পিকার ও সিপিএ নির্বাহী কমিটির চেয়ারপার্সন বলেন, সিপিএর চেয়ারপার্সন পদে নির্বাচন করতে গিয়ে আন্তর্জাতিক রাজনীতি স্বচক্ষে দেখা ও অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ হয়েছে এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এ আন্তর্জাতিক নির্বাচনে সিপিএর নির্বাহী কমিটির চেয়ারপার্সন পদে বিজয় আমার ব্যক্তিগত বিজয় নয়, এ বিজয় বাংলাদেশের জনগণের বিজয়, এ বিজয় বাংলাদেশের সংসদীয় গণতন্ত্রের বিজয়। তিনি আরো বলেন, সিপিএর নির্বাহী কমিটির চেয়ারপার্সন পদে বিজয় বাংলাদেশের নেতৃত্বের সফলতা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক বিশ্বে সুপ্রতিষ্ঠিত স্থান করে নিয়েছেন বলেই এ বিজয় অর্জন সম্ভব হয়েছে। স্পিকার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দারিদ্র বিমোচনসহ অন্যান্য অনেক ক্ষেত্রে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে মাথা উচু করে দাঁড়িয়েছে বলেই আজ এ অর্জন। বাংলাদেশ আজ স্বমহিমায় ও স্বগৌরবে উজ্জ্বল। এ অর্জনকে ধরে রাখতে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে। বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ প্রসঙ্গে স্পিকার বলেন, বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগ আইনজীবী পরিষদ মহিলা আইনজীবীদের একটি স্বতন্ত্র প্লাটফর্ম। এ অনন্য প্লাটফর্মের মধ্য দিয়ে মহিলাদের একত্রে কাজ করার এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।স্পিকার বলেন, আইন পেশা একটি কঠিন ও কষ্ঠসাধ্য পেশা। এ পেশায় টিকে থাকা এবং সাফল্যের ধারাবাহিকতা ধরে রাখা বড় চ্যালেঞ্জ। মহিলা আইনজীবীদের মুলধারার আইজীবেীদের সাথে তাল মিলিয়ে চলার বাধাগুলো সনাক্ত করে তা থেকে উত্তরণের উপায় বের করতে হবে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক এমপি। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তৃতা করেন সাবেক মন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন এমপি।
