আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে কয়েকটি পুলিশ ও সেনাচৌকিতে হামলার সূত্র ধরে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে দমন অভিযান শুরু করে দেশটির সেনাবাহিনী ও পুলিশ। আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) গত ২৫ আগস্ট ওই হামলা চালায় বলে অভিযোগ মিয়ানমার সরকারের। সেই আরসা গতকাল শনিবার সাময়িক অস্ত্রবিরতির ঘোষণা দিয়েছে।
সেনা অভিযানের কারণে রাখাইনে সৃষ্ট মানবিক সংকট থেকে উত্তরণে ত্রাণ সহায়তাকারী সংস্থাগুলোকে কাজ করতে সুযোগ দেওয়ার জন্য আজ রোববার থেকে আরসা এক মাসের অস্ত্রবিরতির ঘোষণা দেয়। কাতারভিত্তিক টিভি চ্যানেল আল–জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়েছে।
অস্ত্রবিরতির ঘোষণা দিয়ে এক বিবৃতিতে আরসা মিয়ানমার সেনাবাহিনীর প্রতিও অস্ত্র বিরতির আহ্বান জানিয়েছে। তারা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের কাছে ত্রাণ পৌঁছে যাওয়ার সুযোগ করে দেওয়ারও আহ্বান জানায়।
গত ২৫ আগস্ট রাখাইনের ৩০টি পুলিশ ও সেনাচৌকিতে হামলা হয়। এরপর সেখানে সেনা অভিযান শুরু হলে প্রাণভয়ে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশের পথে রোহিঙ্গাদের ঢল নামে। পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা সীমান্তের ওপারে সেনাবাহিনীর হত্যা, ধর্ষণ, ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও পরিকল্পিত দমন অভিযানের বিবরণ দেয়। গত দুই সপ্তাহে বাংলাদেশে প্রায় ২ লাখ ৭০ হাজার রোহিঙ্গা ঢুকেছে বলে জানিয়েছে ইউএনএইচসিআর। রাখাইন থেকে বেঁচে আসা রোহিঙ্গারা বলছেন, নারী, শিশু, বৃদ্ধ—কাউকেই ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। এই রক্তপাত বন্ধ করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, আঞ্চলিক শক্তি ও সরকারের প্রতি সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা।