২৭০০০০ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ঢুকেছে: জাতিসংঘ

Slider জাতীয় বাংলার মুখোমুখি

81993_rohinga

 

 

 

 

 

ঢাকা: রাখাইনে সহিংসতায় প্রাণ বাঁচাতে গত দুই সপ্তাহে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গার সংখ্যা ২ লাখ ৭০ হাজারে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। সীমান্ত অঞ্চলে আরো কিছু অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গা দলের সন্ধান পেয়েছে সংস্থাটি। ফলে বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের পক্ষ থেকে শরণার্থীর সংখ্যা ১ লাখ ৬৪ হাজার বললেও একদিনের ব্যবধানে তা ২ লাখ ৭০ হাজারে উন্নীত করেছে তারা। শরণার্থী বিষয়ক জাতিসংঘের হাই কমিশনারের মুখপাত্র ভিভিয়ান তান এ তথ্য জানিয়েছেন।

এদিকে, জাতিসংঘের একজন কর্মকর্তা শুক্রবার বার্তা সংস্থা এএফপি’কে বলেছেন, রাখাইনে সহিংসতায় ইতিমধ্যেই ১ হাজারেরও বেশি মানুষ মারা গেছে। এদের বেশির ভাগই রোহিঙ্গা মুসলিম। ভিভিয়ান তান বলেন, শরণার্থীর মোট সংখ্যায় গত ২৪ ঘন্টায় ঠিক কত জন রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে তার সঠিক তথ্য প্রতিফলিত হয়নি। সীমান্ত অঞ্চলে আমরা আরো কিছু শরণার্থীর সন্ধান পেয়েছি। পূর্বে যাদের অবস্থান সম্পর্কে আমাদের কাছে কোন তথ্য ছিল না। তিনি বলেন, শরণার্থীর এ বিপুল সংখ্যা উদ্বেগজনক। বহুদিন ধরেই বৌদ্ধ-প্রধান মিয়ানমারে রোহিঙ্গারা বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। সেখানে তাদের কোন নাগরিকত্ব নেই। এমনকি যুগ যুগ ধরে এই অঞ্চলে বসবাস করলেও সরকার তাদেরকে বাংলাদেশ থেকে আসা অবৈধ অভিবাসী বলে মনে করে। মিয়ানমার সেনাবাহিনী জানিয়েছে, গতমাসে শুরু হওয়া সেনা অভিযানে তারা ৩৮৭ জন রোহিঙ্গা যোদ্ধাকে হত্যা করেছে। আর এতে ১৫ জন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য নিহত হয়েছে। বর্তমানে মিয়ানমারের অঘোষিত সরকার প্রধান নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী অং সান সুচি। রাখাইন ইস্যুতে তিনি বরাবরের মতই রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। তার এ অবস্থানের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে নোবেল বিজয়ী মালালা ইউসুফজাইসহ বিভিন্ন মানবাধিকার কর্মী ও সংস্থা। ১৯৯১ সালে নোবেল পুরস্কার গ্রহণের সময় সুচি বলেছিলেন, মিয়ানমারের বিভিন্ন নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীগুলোর সমন্বয় সাধনে তিনি কাজ করবেন। কিন্তু এ সপ্তাহের শুরুতে ৭২ বয়সী এ নেতা রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে পালিয়ে যাওয়ার ব্যাপার উল্লেখ না করে রাখাইনে সহিংসতার ঘটনাকে ‘অনেক বড় ভুল তথ্য’ (হিউজ আইসবার্গ অব মিসকনসেপশন) বলে অভিহিত করেন। এ সময় তিনি সহিংসতার জন্য ‘রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদেরকে’ অভিযুক্ত করেন। এমন অবস্থায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যদি এ সহিংসতার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ না করে, তাহলে মিয়ানমার ‘¯্রেেব্রনিকা গণহত্যার’ মত জাতিগত উচ্ছেদের সাক্ষী হবে। মঙ্গলবার জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্টনিও গুতেরা জাতিগত উচ্ছেদের ঝুঁকির ব্যাপারে সতর্ক করে মিয়ানমারকে সহিংসতা বন্ধ করার আহবান জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *