প্রথম যখন সিনেমায় পর্দায় এসেছিলেন, অনেকে মনে করেছিলেন কেবলমাত্র গ্ল্যামার গার্ল হয়েই বলিউডে থেকে যাবেন তিনি। সে ধারণা সম্পূর্ণ পাল্টে দিয়েছেন দীপিকা পাড়ুকোন।
নিজেকে এতটাই সক্ষম করে তুলেছেন, বলিউডের বহুদিনের প্রথা ভেঙে নায়কদের থেকেও বেশি পারশ্রমিক পাচ্ছেন বলিউডের ‘মস্তানি’।যেভাবে শুরু হয়েছিল তার এই বলিউডের সফর? সালটা ছিল ২০০৭। নিজের নতুন ছবির জন্য নতুন মুখ খুঁজছিলেন পরিচালক-কোরিওগ্রাফার ফারহা খান। এর জন্য বন্ধু মালাইকা অরোরার কাছে সাহায্য চান তিনি। মালাইকা এ কথা জানান, আবার তার বন্ধুকে। প্রখ্যাত ডিজাইনার ওয়েনডেল রডরিক। একটি মেয়েকে বেশ পছন্দ ছিল রডরিকের। মাত্র দু’বছরেই মডেলিং জগতে বেশ ভালো নাম করেছিল মেয়েটা। বয়স বেশি না হলেও বেশ বুদ্ধিমতী ছিল।
রডরিকের স্পেশাল কালেকশন পরে হাঁটারও কথা ছিল ল্যাকমে ফ্যাশন উইকে। রডরিক তারই নাম সুপারিশ করেন। মালাইকাকে বলেন, প্রথম যে মেয়েটি তার পোশাক পরে মার্জার সরণিতে হাঁটবে, সেই মেয়েটিই ফারহার ছবির নায়িকা হওয়ার যোগ্য।
কথামতো মালাইকা ফারহাকে নিয়ে হাজির হন শোয়ের দিন। রডরিকের পোশাকে ব়্যাম্পে অবতীর্ণ হন দীপিকা। এক নজরেই ফারহার পছন্দ হয়ে যায় মেয়েটির লুক। সেই হয়ে ওঠে তার ‘ওম শান্তি ওম’র শান্তিপ্রিয়া। শাহরুখ-ম্যাজিকে প্রথম ছবি হিট হলেও বলিউডে পরের বছরগুলোতে বেশ স্ট্রাগল করতে হয়েছিল দীপিকাকে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তিনি হয়েছেন পরিণত। আর আজ হয়ে উঠেছেন বলিউডের ‘পদ্মাবতী’। সাফল্যের এই দিনেই তাই উঠে এল শুরুর সেই অজানা কাহিনী।