রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের ওপর চাপ বাড়াতে বিশ্বের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে পাকিস্তান। একই সঙ্গে তারা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মানবিক সহায়তা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। বার্তা সংস্থা এপি’র এক খবরে এ কথা বলা হয়েছে। এতে বলা হয়, এরই মধ্যে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনের প্রতিবাদে লাহোরে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। তাতে অংশ নিয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। তাদের হাতে ছিল প্লাকার্ড। তাতে লেখা- ‘ওয়েক আপ রুলারস অব মুসলিম কান্ট্রিস’। অর্থাৎ মুসলিম বিশ্বের শাসকরা জেগে উঠুন। পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী খাজা মুহাম্মদ আসিফ বলেছেন, বিবেকবোধ সম্পন্ন বিশ্বের কাছে রোহিঙ্গাদের দুরবস্থা একটি চ্যালেঞ্জ। বৃহস্পতিবার পাকিস্তানি কূটনীতিকদের এক সম্মেলন উদ্বোধন করেন তিনি। এ সময় তার মন্ত্রণালয় থেকে একটি বিবৃতি দেয়া হয়। তাতেই এসব কথা বলা হয়। এপি লিখেছে, রোহিঙ্গা মুসলিমদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করতে পাকিস্তানজুড়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও ধর্মীয় সংগঠন। রোহিঙ্গাদের গণহত্যার প্রতিবাদে তারা নিন্দা প্রকাশ করেছেন অং সান সুচির প্রতি। কারণ, তার সরকারের অর্থাৎ সেনাবাহিনীই কয়েকদিন আগে স্বীকার করেছে ৪০০ জনকে হত্যা করা হয়েছে। এরা ছিল ‘টেরোরিস্ট’। এর পরে বেশ কয়েকদিন কেটে গেঠে। পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা বলছেন, আগুন, ধর্ষণ, হত্যাকাণ্ড অব্যাহত আছে। ফলে নিহতের সংখ্যা কত তা নিরপেক্ষ কোনো সূত্র থেকে নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। এরই মধ্যে দু’সপ্তাহের কম সময়ে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে এসেছেন কমপক্ষে এক লাখ ৪৬ হাজার রোহিঙ্গা। কি পরিস্থিতিতে মানুষ তার বাস্তুভিটা, দেশ ছেড়ে পালায় তা সহজেই অনুমেয়। মিয়ানমার সরকার বলছে, তারা শুধু ‘টেরোরিস্টদের’ বিরুদ্ধে লড়াই করছে, তাহলে প্রশ্ন থেকে যায়- এসব সাধারণ মানুষ কেন পালাচ্ছে? তারাও কি তবে টেরোরিস্ট?