আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে ঈদযাত্রার বিভিন্ন তথ্য জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, সরকার মিয়ানমারের পুশ ইন নীতির প্রতিবাদ করছে। তবে যারা আসছে, তাদের প্রতি যেন মানবিক আচরণ দেখানো হয়, সে জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন। ইতিমধ্যে দেড় লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশ এসেছে। এই পরিস্থিতি অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে মোকাবিলা করা হচ্ছে। জাতিসংঘকেও উদ্বেগের কথা জানানো হয়েছে, যেন যারা এসেছে, তাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, জনস্রোতের এই যে বিশাল বোঝা, তা বহনের ক্ষমতা সরকারের নেই। তিনি নির্যাতনের শিকার হয়ে আসা রোহিঙ্গাদের এই স্রোতকে রক্তস্রোত হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি জানান, ইতিমধ্যে বাংলাদেশে মিয়ানমারের প্রতিনিধিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডেকে নিয়ে এই নিপীড়ন বন্ধ করার জন্য জোরালো বক্তব্য দেওয়া হয়েছে।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিএনপি যে কর্মসূচির ডাক দিয়েছে, সে বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে লিপ্ত হয় কি না, সেটা নিয়ে তারা (আওয়ামী লীগ) উদ্বিগ্ন।
আগামী নির্বাচনের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি এখন ‘মাইনকা চিপায়’ পড়েছে। কারণ, নির্বাচনে গেলে হারার ভয় আছে। আবার ৫ জানুয়ারির মতো সহিংসতা করলেও জনঘন মেনে নেবে না। নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে বিএনপির সঙ্গে আলোচনার কোনো প্রয়োজন নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি। এ বিষয়ে সংবিধানেই বলা আছে।
মন্ত্রী বলেন, এবার ঈদযাত্রায় ভয়ভীতি ও আতঙ্ক থাকলেও শেষটা ভালোই কেটেছে।