বৃষ্টি শেষে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু হয়েছে। দুপুর সোয়া ১টায় শুরু হওয়া এই ম্যাচে বড় লক্ষ্যের দিকেই যাচ্ছিল অস্ট্রেলিয়া।
হ্যান্ডসকম্ব ও ওয়ার্নার জুটি ভোগাচ্ছিল শুরু থেকে। শেষ পর্যন্ত দলীয় ২৫০ রানে থামে ১৫২ রানের ভয়ঙ্কর এই জুটি।রান আউট হয়ে ফিরে যান হ্যান্ডসকম্ব। বিদায় নেয়ার আগে ১৪৪ বলে ৮২ রানে ফেরেন এই তারকা। যেখানে ছিল ৬টি চার। অবশ্য সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন ওপেনার ওয়ার্নার। টানা দুই টেস্টেই শতকের দেখা পেলেন বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান।
ওয়ার্নারের ব্যাটে ভর করেই লিড নেয়ার দিকে এগোচ্ছিল অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু মোস্তাফিজ এসে দলীয় ২৯৮ রানে তাকে তালুবন্দী করান ইমরুল কায়েসের। ওয়ার্নার বিদায় নেন ১২৩ রানে। ২৩৪ বলের ইনিংসে ছিল ৭টি চার! এরপর কিছুক্ষণ থিতু হওয়ার চেষ্টায় ছিলেন এই টেস্টে জায়গা পাওয়া কার্টরাইট।
মেহেদী হাসান মিরাজের বলে বেশ কয়েকবারই পরাস্ত হয়েছিলেন। একবার তো সরাসরি তার শট গিয়ে লাগে মিরাজের বুকে। তখন অবশ্য ক্যাচ মিস করেন তরুণ স্পিনার। এরপর আর অবশ্য থিতু হতে পারেননি। চা পানের বিরতির আগেই স্লিপে সৌম্যকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ১৮ রানে ব্যাট করতে থাকা এই অলরাউন্ডার। অবশ্য এর মাঝে থেকেই প্রতিরোধটা দিতে থাকেন ম্যাক্সওয়েল। লিডটাও বাড়াতে থাকেন। এর মাঝেই ফের অসি শিবিরে আঘাত হারের কাটার মাস্টার মোস্তাফিজ। এলবিডাব্লিউ হয়ে ফেরেন ম্যাথুওয়েড। ফেরেন ৮ রানে।
অবশ্য আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের পর রিভিউ নিয়েছিলেন ম্যাথুওয়েড। তাতেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এরপরেই ফেরেন ম্যাক্সওয়েল। প্রতিরোধের দেয়াল দিলেও ৩৮ রানে তাকে দুর্দান্ত এক ক্যাচে তালুবন্দী করান মেহেদী হাসান মিরাজ। এরপর ১০৯ ওভারে মাথায় প্যাট কুমিন্সকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন মেহেদী মিরাজ।
তৃতীয় দিন শেষে অজিদের সংগ্রহ ৯ উইকেটে ৩৭৭ রান। অজিদের লিড দাঁড়িয়েছে ৭২ রান। এর আগে অবশ্য বৃষ্টির বাগড়ায় তৃতীয় দিনের প্রথম সেশন কোনো খেলাই ছাড়া শেষ হয়ে।
মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিন শেষে বাংলাদেশ এগিয়ে ছিল ৮০ রানে। দ্বিতীয় দিনের পুরোটা সময়ই হতাশায় কেটেছে স্বাগতিকদের। পুরোদিনে ৬৪ ওভার বোলিং করে বাংলাদেশের বোলারদের সাফল্য ছিল দুই উইকেট। অতিথিদের দলের স্মিথ-ওয়ার্নার-হ্যান্ডসকম্ব মিলে স্বাগতিক বোলারদের বেশ করেই চেপে ধরেন। এই তিন ব্যাটসম্যানদের প্রচেষ্টাতে অতিথিরা দুই উইকেট হারিয়ে দ্বিতীয় দিনে সংগ্রহ করে ২২৫ রান।