![মিরপুরের জঙ্গি আস্তানায় মিলল বিকৃত ৭ লাশ](http://www.bd-pratidin.com/assets/news_images/2017/09/06/Benojr.jpg)
বুধবার বিকাল ৩টা ১৮ মিনিটে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান র্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার রাতে পরপর তিনটি বড় ধরনের বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণে প্রায় ৫০০ মিটার বেগে বিস্ফোরক পদার্থগুলো চারদিকে ছিটকে পড়ে। এতে ভবনের পঞ্চমতলার জানালার থাই গ্লাস ভেঙে চুরমার হয়ে যায়।
পঞ্চমতলার মেঝেতে ফাটল তৈরি হয়। ওই ফাটল দিয়ে পঞ্চমতলার ‘জঙ্গি আস্তানায়’ রক্ষিত কেমিক্যাল চতুর্থতলায়ও ছড়িয়ে পড়ে। বিস্ফোরণের পর ওই কেমিক্যালে আগুন লেগে সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ওই আগুনে ‘জঙ্গি’ আব্দুল্লাহসহ তার দুই সহযোগী, দুই স্ত্রী ও দুই সন্তানও পুড়ে কয়লা হয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, চোখে দেখে নিহতদের কাউকে শনাক্ত করা যাচ্ছে না। ফরেনসিক পরীক্ষা ছাড়া তাদের শনাক্ত করা সম্ভব নয়। ‘জঙ্গি’ আব্দুল্লাহ ২০০৫ সালে জঙ্গিবাদে (জেএমবি) সম্পৃক্ত হয়। ২০০৮-০৯ সালে জেএমবি ভেঙে তামিম-সারোয়ারের নেতৃত্বে নব্য জেএমবি গঠিত হয়। ওই সময় ‘জঙ্গি’ আব্দুল্লাহ নব্য জেএমবিতে যোগ দেয়। তার বাসায় নব্য জেএমবির শীর্ষ পর্যায়ে প্রায় সব নেতাই সময় কাটিয়েছেন।
এর আগে দুপুর পৌনে ১টার দিকে ওই কক্ষ থেকে তিনটি পোড়া লাশ উদ্ধারের কথা জানিয়েছিলেন র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান। তখন মুফতি মাহমুদ গণমাধ্যমকে জানান, বাড়িটির পঞ্চম তলার একটি কক্ষ থেকে তিনটি পোড়া লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
মুফতি মাহমুদ আরও জানান, র্যাবের বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিটের সদস্যরা পুরো ভবন তল্লাশি চালিয়ে পোড়া তিনটি মরদেহের সন্ধান পায়। পাশাপাশি সাবধানতা অবলম্বন করে বাকি কক্ষগুলো তল্লাশি করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে রাজধানীর মিরপুরের মাজার রোডের বাড়িটি সোমবার গভীর রাত থেকে ঘিরে রাখে র্যাব।