টাঙ্গাইলে চাঞ্চল্যকর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদ হত্যা মামলার চার্জ গঠন করা হয়েছে। প্রধান আসামি টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানাসহ ১৪ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়।
একই সাথে আগামী ১৮ অক্টোবর সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করা হয়।বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবুল মনসুর মিয়া এ আদেশ দেন। এর আগে আসামি পক্ষের আইনজীবি মামলা পুনঃতদন্ত ও ডিসচার্জের জন্যে পৃথক দুটি আবেদন করলে আদালত তা খারিজ করে দেন।
এদিকে মামলার প্রধান আসামি সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানাসহ তাদের চারভাইয়ের বিচার দাবিতে আদালত প্রাঙ্গনে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। দুপুর ১২ টার দিকে এমপি রানাকে গাজিপুরের কাশিমপুর কারাগারের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হয়। এর আগে সকাল নয়টার দিকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে গাজিপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে টাঙ্গাইল আদালত চত্বরে আনা হয়
মামলার বাদি পক্ষের আইনজীবি এস আকবর খান জানান, আসামি পক্ষের দুইটি আবেদন খারিজ হয়ে গেলেও কারাগারে এমপি রানার সুচিকিৎসার আবেদনটি গ্রহণ করেন আদালত।
মামলার বাদী ও নিহত ফারুক আহমেদের স্ত্রী নাহার আহমেদ স্বস্তি প্রকাশ করে মামলায় ন্যায় বিচার দাবি করেছেন।
প্রসঙ্গত ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি রাতে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদকারী ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ মরদেহ টাঙ্গাইলে তার কলেজপাড়া এলাকায় বাসার সামনে পাওয়া যায়। ঘটনার তিনদিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমেদ টাঙ্গাইল সদর থানায় মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করা হয়। প্রথমে থানা-পুলিশ ও পরে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) মামলার তদন্ত করে। ২০১৪ সালের আগস্টে এ মামলার আসামি আনিসুল ইসলাম ওরফে রাজা ও মোহাম্মদ আলী গ্রেফতার হন। আদালতে তাদের স্বীকারোক্তিতে সাংসদ আমানুর রহমান খান ও তার তিন ভাইয়ের এ হত্যাকান্ডের জড়িত থাকার বিষয়টি বের হয়ে আসে। মামলায় আমানুর ও তার তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান, ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সহসভাপতি সানিয়াত খানসহ ১৪ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে এ মামলার অভিযোগপত্র জমা দেয়া হয়।