তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কভুসগলু জানিয়েছেন, মঙ্গলবার দুই দেশের শীর্ষ পর্যায়ের নের্তৃবৃন্দের মধ্যে এ বিষয়ে কথা হয়।
এসময় এরদোয়ান মিয়ানমারের অারাকান রাজ্যে বসবাসরত রোহিঙ্গা নাগরিকদের উপর চলমান নির্যাতন ও মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।পাশাপাশি টেলিফোনে নিরপরাধ রোহিঙ্গা নাগরিকদের বিরুদ্ধে অভিযান ও সহিংসতার নিন্দা জানান এরদোয়ান। তিনি বলেন, রাখাইনের ঘটনা গুরুতর মানবিক সংকটে রূপ নিয়েছে, যা জনগুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। তুরস্কের এই প্রেসিডেন্ট রাখাইনে নিরপরাধ মানুষের ওপর অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ থেকে বিরত থাকতে সু চিকে আহ্বান জানান। একই সঙ্গে বেসামরিকদের সুরক্ষায় গুরুতর সংবেদনশীলতা দেখানোর আহ্বান জানান এরদোয়ান।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ ও জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্টনিও গুতেরাসের সঙ্গে আলোচনা করেছেন বলে টেলিফোনে সু চিকে জানান এরদোয়ান। মিয়ানমারের ডি ফ্যাক্টো সরকারের প্রধান সু চি দেশটির প্রধানমন্ত্রী সমমর্যাদার।
গত ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইনে সহিংসতা শুরুর পর দেশটির সেনাবাহিনীর অভিযানে নারী, শিশুসহ এখন পর্যন্ত এক লাখ ২০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়েছে। মিয়ানমার নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের বাড়ি-ঘর ধ্বংস ও অত্যধিক বলপ্রয়োগের মাধ্যমে তাড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। গত কয়েকদিনের সহিংসতায় রাখাইনে অন্তত ৪০০ রোহিঙ্গার প্রাণহানি ঘটেছে।