১১০ বছর বয়সে এসে সীমান্ত অতিক্রম করতে হবে তা কখনো ভাবেননি আবদুর রহমান। কিন্ত বর্মী সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে প্রাণ বাঁচানোর তাগিদে তাকে সেটাই করতে হয়েছে। ৫ই সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার পরিবারের অন্যান্যদের সাথে তিনি বাংলাদেশের হোয়াইক্যং উলুবনিয়া সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে অনুপ্রবেশ করেছেন। তার দুই সন্তান চেয়ারে বসিয়ে কাঁধে ভার করে এপারে নিয়ে আসেন। তিনি মিয়ানমার আরকান রাজ্যের বুচিডং থানার খানসাম এলাকার বাসিন্দা।
তার সাথে একান্ত আলাপকালে জানান, অনেকবার মিয়ানমার জান্তার নির্যাতন, নিপীড়ন ও হুমকির মুখোমুখি হয়েছেন। কিন্তু এবারের মতো এতো নির্যাতন কখনো দেখেননি। সেনাবাহিনী নারীদের নির্যাতন করছে। ঘরবাড়ি জালিয়ে দিচ্ছে। পুরুষদের ধরে হত্যা করছে। তাই জীবন বাঁচাতে জীবনের শেষ বয়সে আবদুর রহমান নিজ জম্ম ভুমি ছেড়ে বাংলাদেশে আশ্রয়ে চলে আসতে বাধ্য হয়েছেন। তিনি আরো জানান, প্রায় আট দিন পর এপারে চলে আসতে সক্ষম হয়েছেন। এসময় তিনি কখনো পাহাড়ে, কখনো ধানক্ষেতে আবার কখনো রোহিঙ্গাদের ছেড়ে আসা খালি ঘরে রাত্রি যাপন করেছেন। তিনি নিজ চোখে অনেক লাশ দেখেছেন বলেও জানান।
তিনি অবশেষে প্রাণ রক্ষা করে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারায় আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জ্ঞাপন করেন এবং বাংলাদেশিদের জন্য দু’হাত তুলে দোয়া করেন।