বৃহস্পতিবার বিকেলে সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের বাগ্নিবাড়ি মহল্লার বোমকা এলাকায় এ গণধর্ষনের ঘটনা ঘটেছে। যুবলীগ নেতা সেলিম মন্ডলের দুই ভাইসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে এই গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত অন্যান্যরা হলেন সাভার উপজেলা যুবলীগের সভাপতি সেলিম মন্ডলের আপন ভাই, মোহসিন মন্ডল, জুয়েল মন্ডল, খালাতো ভাই হামিদ মন্ডল, চাচাতো ভাই তানভীর মন্ডল ও পারভেজ নামের আরেক যুবক।
ভুক্তভোগী তরুনী জানায়, সে বিরুলিয়া ইউনিয়ের একটি বেসরকারী স্কুলের ৮ম শ্রেনীর ছাত্রী। বৃহস্পতিবার বিকেল সে শরীফ নামে তার এক বন্ধুর সাথে স্থানীয় বোমকা এলাকায় ঘুরতে যায়। এ সময় তানভীর মন্ডল ও পারভেজ নামে দুই যুবক তাদের গতিরোধ করে প্রথমে শরীফকে বেধরক মারপিট করে। এরপর আমাকে চোখ বেধে একটি জঙ্গলে নিয়ে যায়। সেখানে হামিদ মন্ডল ও মোহসীন মন্ডলের নাম শুনতে পাই এবং বেশ কয়েকজনের উপস্থিতি বুঝতে পারি। একপর্যায়ে তারা আমাকে মারধর করে এবং আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষন করে পালিয়ে যায়। আমার বন্ধু বিষয়টি এলাকাবাসীকে জানালে তাদের সহায়তায় আমাকে উদ্ধার করে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন।
তরুণীর মামাতো ভাই ফরিদ শিকদার জানান, আমার মামাতো বোন (১৭) নিপা বৃহস্পতিবার বিকেলে তার বন্ধু শরীফকে নিয়ে বাগ্নিবাড়ি বোমকা এলাকায় বেড়াতে যায়। এসময় মোহসীন মন্ডল হামিদ মন্ডল, তানভীর মন্ডল ও পারভেজসহ কয়েকজন বখাটে তাকে চোখ বেধে জঙ্গলে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষন করে। খবর পেয়ে আমি নিপাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসি।
সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক ডাঃ (ই,এম,ও) সামছুল নাহার বলেন, ধর্ষণের স্বাকীর ওই তরুণীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান ষ্টাফ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। যুবলীগ নেতার ভাইরা গণধর্ষণের সাথে জড়িত থাকায় বিরুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান সুজন এ ঘটনার সুষ্ঠ বিচার দাবি করেছেন।
সাভার মডেল থানার (ওসি) মহাসিনুল কাদির বলেন, গনধর্ষণের সাথে জড়িত তানভীর নামে এক যুবকের আটক করা হয়েছে। এর সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করার জন্য অভিযান চলছে।