নিহতদের মধ্যে ১১ জন নারী ও ১১ জন শিশু রয়েছে।অনুসন্ধানে জানা যায়, বৃহস্পতিবার ভোর রাত ৩টার দিকে মিয়ানমার হতে ২টি ট্রলারে করে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের দিকে রওনা দেয়। মাঝপথে এসে ট্রলারে থাকা দালালেরা নারীদের স্বর্ণালংকার ও টাকা দাবি করে এবং সুন্দরী নারীদের শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। এতে রোহিঙ্গা পুরুষেরা বাধা দিলে হাতাহাতির এক পর্যায়ে ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার পর বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার হতে দুপুর সোয়া ২টা পর্যন্ত শাহপরীর দ্বীপের পশ্চিমে ডাঙ্গরপাড়া পয়েন্টে স্থানীয় বিজিবি, কোস্টগার্ড ও জনতার সহায়তায় ভাসমান ২২ জনের লাশ উদ্ধার করা হলেও পরিচিত ২ জনকে স্বজনেরা নিয়ে যায় বলে জানা গেছে।
খবর পেয়ে টেকনাফ মডেল থানার ওসি মো. মইন উদ্দিন খান একদল পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছেন।
প্রাণে রক্ষা পাওয়া মিয়ানমারের হাইসছুরাতার মন্ডুলার আলী হাইঞ্জনের ওমর হাকিমের পুত্র আয়াতুল্লাহ (২৫) বলেন, দুর্ঘটনায় তার ছেলে আয়াছ ও মেয়ে রুজিনা, মা গোলজার, খালা, দুই ফুফুসহ মোট ১৫ জন মারা গেছে। আরেকটি নৌকা হতে কয়েকজন মারা গেছেন তা তিনি বলতে পারেননি।
স্থানীয় আব্দুল আমিন মাঝির সহায়তায় আয়াতুল্লাহসহ ৪ জন পুরুষ, ৮ জন নারী ও ৮ জন শিশুসহ মোট ২০ জন প্রাণে বেঁচে যান। উদ্ধারকৃতরা হাঙ্গরপাড়ার আব্দুল মজিদের বাড়ি থেকে আশ্রয়ে নেওয়া হয়েছে। পরে প্রাণে রক্ষা পাওয়াদের স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তি ও সচেতন মহল মানবিক সহায়তা দিচ্ছেন।