রাখাইন রাজ্যে ২৫ আগস্ট সহিংস ঘটনার পর মঙ্গলবার পর্যন্ত ৪ দিনে ১৮ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে।
আজ বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা আইওএম সংস্থার কক্সবাজার অফিস প্রধান সংযুক্তা সাহানী এই তথ্য জানান।
তিনি বলেন, নতুন করে আসা রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা দিয়ে জীবন বাঁচানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের জন্য সীমান্তের ওপারে বিভিন্ন পয়েন্টে আরো বহু সংখ্যক রোহিঙ্গা জড়ো হয়েছে।
এদিকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টাকালে বুধবার রাতে নাফ নদীর শাহপরীর দ্বীপ পয়েন্টে রোহিঙ্গা বোঝাই একটি নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটেছে। সকালে সাবরাং শাহপরীর সৈকত থেকে ৪ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে স্থানীয় লোকজন।
টেকনাফে বিজিবি ২ ব্যাটেলিয়নের অধিনায়ক এসএম আরিফুল ইসলাম ৪ রোহিঙ্গার মৃতদেহ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, লাশগুলো স্থানীয় ভাবে দাফনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য নুরুল আমিন বলেন, বুধবার রাতের কোন এক সময়ে রোহিঙ্গা বোঝাই নৌকাটি ডুবে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সকালে খবর পেয়ে শাহপরীর দ্বীপ দক্ষিণপাড়া এবং সাবরাং মাঝের পাড়া সৈকত থেকে ৪ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এদের মধ্যে ২জন নারী ও ২জন কন্যা শিশু।
ওদিকে, টেকনাফ ২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল এস এম আরিফুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার বিকেল ৩ টা পর্যন্ত নাফনদী পার হয়ে সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকালে ৭৫ জন রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়েছে। এদেরকে মানবিক সহযোগিতা দিয়ে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হবে। সীমান্তে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিজিবি সর্তক অবস্থানে রয়েছে।
অন্যদিকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকালে বিজিবি ও কোস্ট গার্ডের হাতে ১৫২ জন রোহিঙ্গা আটক হয়েছে। এদের মধ্যে ৮০ জন শিশু রয়েছে। টেকনাফ ও সেন্টমার্টিন উপকূল থেকে এদের আটক করা হয়েছে।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন জানিয়েছেন আটক ১৫২ জন রোহিঙ্গাকে মানবিক সহযোগিতা দিয়ে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হবে।
তিনি বলেন, সীমান্তে বিজিবি, পুলিশ ও কোস্ট গার্ড সদস্যরা রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে।