রূপার লাশ কবর থেকে তোলার অনুমতি

Slider নারী ও শিশু

rupa

 

 

 

 

 

চলন্ত বাসে ‘ধর্ষণের পর’ হত্যার শিকার জাকিয়া সুলতানা রূপার মরদেহ কবর থেকে তুলে পরিবারের কাছে হস্তান্তরের জন্য আদেশ দিয়েছেন আদালত। রূপার পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার টাঙ্গাইলের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম গোলাম কিবরিয়া এই আদেশ দেন।

টাঙ্গাইল সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুর রহিম সুজন জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবারই রূপার লাশ উত্তোলন করা হবে।

গত ২৫ আগস্ট রাতে ছোঁয়া পরিবহনের একটি বাসে করে বগুড়া থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে বাসের কর্মচারীরা রূপাকে পালাক্রমে ধর্ষণের পর ঘাড় মটকে হত্যা করে। এরপর তার লাশ টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর বন এলাকায় ফেলে রাখা হয়। রাতে মধুপুর থানার পুলিশ রূপার লাশ উদ্ধার করে।

ওই তরুণীর লাশ পাওয়ার পর হত্যার আলামত থাকায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করে মধুপুর পুলিশ। কিন্তু পরিচয় না জানায় ময়নাতদন্ত শেষে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় কবরস্থানে বেওয়ারিশ হিসেবে তাকে দাফন করা হয়।

গত সোমবার রূপার বড় ভাই হাফিজুল গণমাধ্যমে বেওয়ারিশ লাশ দাফনের সংবাদ দেখে মধুপুর থানায় এসে বোনের লাশ শনাক্ত করেন। পরে তিনি ছোঁয়া পরিবহনের ওই কর্মচারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে বাসের চালক, সুপারভাইজার, সহকারীসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করে। তারা সবাই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন।

রূপার বাড়ি সিরাজগঞ্জের তাড়াশে। ঢাকার আইডিয়াল ল কলেজে পড়ালেখা করার পাশাপাশি একটি কোম্পানির প্রমোশনাল ডিভিশনে কাজ করছিলেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *