গরমে থাকতে পারেন না, নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়াই বেশি পছন্দ। গরমের সময় বাতাস দেওয়ার জন্য রাখা হয় একটি স্টান্ড ফ্যান। খাবারেও আছে আয়েশিভাব। প্রতিদিন ৪শ’ থেকে সাড়ে ৫শ’ টাকা মূল্যমানের খাবার খেয়ে থাকেন। নাম ‘সওদাগর’।প্রতিদিনই কোরবানির হাটে আগত নারী-পরুষ সবাই সওদাগরকে এক নজর দেখতে আসছে। হাটে প্রবেশ করেই সবাই সওদাগরকে দেখে দাম জিজ্ঞাসা করছেন। অনেকেই মুঠোফোনে ছবি তুলছেন। তারকা বনে যাওয়া সওদাগরের সঙ্গে সেলফিও তুলছেন।
সিদ্ধিরগঞ্জের নাসিক ৪নং ওয়ার্ডের কাঁচপুর সেতুর পশ্চিম পাশে শিমরাইল টাইগার মিলস বালুর মাঠে সিটি কর্পোরেশনের ইজারা দেওয়া হাটে তোলা হয়েছে সওদাগর নামের এ গরুটিকে।
নারায়ণঞ্জগঞ্জের সোনারগাঁয়ের সনমান্দীস্থ সোনারগাঁ ডেইরি ফার্মের মালিক নজরুল ইসলাম তার খামার থেকে এ গরুটি হাটে নিয়ে এসেছেন বিক্রয়ের জন্য। সওদাগরের দাম হাঁকিয়েছেন সাড়ে ১২ লাখ টাকা। এ পর্যন্ত দাম উঠেছে ৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা।
নজরুল ইসলাম জানান, ফিজিয়ান ও শাহীওয়াল গরুর ক্রস থেকে জন্ম তার এ গরুর। এ গরুর চলন বলনে আয়েশি হওয়ায় তিনি এর নাম দিয়েছেন সওদাগর। সওদাগরের বয়স সাড়ে ৪ বছর। গত বছরের কোরবানীর হাটে তাকে বিক্রির জন্য হাটে তুলেছিলেন। সে সময় এ গরুর দাম হাঁকা হয়েছিল ৫ লাখ টাকা। কিন্তু ওই সময় তার সর্বোচ্চ দাম উঠে ৩ লাখ টাকা।
প্রায় ৩১ মন ওজনের এ গরুকে অনেক যত্মে লালন-পালন করতে হয় বলে জানান নজরুল ইসলাম। গরমকালে সওদাগরের গায়ে বাতাস দেয়ার পাশাপাশি কিছুক্ষণ পর পর তার শরীর ভেজা গামছা দিয়ে মুছে দিতে হয়।
হাটের ইজারাদার শফিকুল ইসলাম বলেন, সওদাগর হাটে আসার পর উৎসুক জনতার আনাগোনা বেড়ে গেছে। সবাই সওদাগরের সাথে ছবি তুলছেন। তবে এতে সওদাগর বিরক্ত হচ্ছে না। সে তার মতই কখনো বসছে, কখনো দাড়াচ্ছে। খাবার খাচ্ছে। তবে কিছুক্ষণ পর পর তাকে হাটের কিছুটা জায়গায় হাঁটিয়ে আনা হচ্ছে।