জানা যায়, আজ মামলার ধার্য তারিখে জেলা কারাগার থেকে কাউন্সিলর রুমকি, তার মা রুমি বেগম, মামলার প্রধান আসামি তুফান সরকারের স্ত্রী আশা খাতুন এবং তুফান সরকারের দুই সহযোগী আতিক ও মুন্নাকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর জামিন আবেদন করা হলে তা শুনানী শেষে তাদের আবেদন নামঞ্জুর করে আবারো কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন বগুড়ার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শ্যাম সুন্দর রায়। আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর মামলার পরবর্তী তারিখ ধার্য্য করেন। নির্যাতিত কলেজছাত্রী ও তার মা আদালতের নির্দেশে ৮ আগস্ট থেকে রাজশাহীর সেইফ হোমে অবস্থান করছে। আজ তারা বগুড়ার শিশু আদালতে হাজির হয়ে সেইফ হোম থেকে নিজেদের বাড়িতে ফেরার আবেদন জানান। কিন্তু মামলার তদন্ত কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের রাজশাহীর সেইফ হোমে রাখার পুরনো আদেশই বহাল রাখেন বগুড়ার ১ম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ও শিশু আদালতের বিচারক মোহা. ইমদাদুল হক। বগুড়া নারী ও শিশু আদালতের স্পেশাল পিপি এ্যাড. আমান উল্লাহ এই তথ্য জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ২৮ জুলাই ধর্ষণের বিচার করার নাম করে অভিযুক্ত বহিস্কৃত শ্রমিকলীগ নেতা তুফান সরকারের স্ত্রী আশা ও তার বোন নারী কাউন্সিলর রুমকি, মা রুমি বেগমসহ বেশ কয়েকজন মিলে মারপিটের পর মাথার চুল কেটে ন্যাড়া করে দেয়। এ ঘটনায় বগুড়া সদর থানায় মামলা হয়েছে।
মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা বগুড়া সদর থানার ওসি (অপারেশন্স) আবুল কালাম আজাদ জানান, নির্যাতিত মা ও মেয়ে দুই জনই বগুড়া আদালতে হাজির হয়েছিল। তাদের সেফ হোমেই রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।