ঢাকা টেস্টের চতুর্থ দিন সকালটা যেন রোমাঞ্চের ডালা সাজিয়ে বসেছে। প্রথম ঘণ্টায় ডেভিড ওয়ার্নার আর স্টিভ স্মিথ ৬৫ রান তুলে ম্যাচ থেকে প্রায় ছিটকেই দিয়েছিলেন বাংলাদেশকে। কিন্তু শেষ এক ঘণ্টায় অস্ট্রেলিয়ার ৫ উইকেট তুলে নিয়ে মিরপুরে এখন জয়টা খুব কাছেই দেখছে বাংলাদেশ। ২৬৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করা অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ৯ উইকেটে ২২৮। জয়ের জন্য এখনো তাদের দরকার ৩৭ রান। অস্ট্রেলিয়ার আশা হয়ে ছিলেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। কিন্তু লাঞ্চের পর প্রথম বলেই তাঁকে বোল্ড আউট করে ফেরান সাকিব। এরপর লায়নকে সৌম্যর ক্যাচে পরিণত করেন মিরাজ।
ডেভিড ওয়ার্নার আর স্টিভ স্মিথের জুটি ছিল ১৩০ রানের। কিন্তু আজ সকালেই সাকিব আল হাসান তুলে নিলেন ৩ উইকেট। একে একে ফেরালেন সেঞ্চুরিয়ান ওয়ার্নার, অধিনায়ক স্মিথ আর ম্যাথু ওয়েডকে। সাকিবের সঙ্গে মিলে অস্ট্রেলীয় ব্যাটসম্যানদের বিপদের কারণ হলেন বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম। তাঁর শিকার পিটার হ্যান্ডসকম্ব ও অ্যাশটন অ্যাগার।
সেঞ্চুরি পূরণ করে সাকিবের বলে এলবির ফাঁদে পড়েন ওয়ার্নার। স্মিথ আউট হয়েছেন উইকেটের পেছনে মুশফিকুর রহিমের হাতে ধরা পড়েই। তাইজুলের বলে হ্যান্ডসকম্বের ক্যাচটি স্লিপে দাঁড়িয়ে দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় দারুণভাবে ধরেন সৌম্য। ওয়েড ফিরেছেন এলবি হয়েই। অ্যাগারকে কট অ্যান্ড বোল্ড করে ফেরান তাইজুল। আজ চতুর্থ দিন সকালে প্রথম সেশনে ২৭ ওভারে অস্ট্রেলিয়া তুলেছে মোট ৯০ রান।
বাংলাদেশের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম ফিফটি পেয়েই সেটিকে সেঞ্চুরিতে পরিণত করেছেন ডেভিড ওয়ার্নার। ১৩৫ বলে ১১২ রান করে আউট হন অস্ট্রেলীয় ওপেনার। সেঞ্চুরি থেকে ২ রান দূরে থাকতে অবশ্য সাকিবের বলে কট বিহাইন্ডের জোরালো আবেদন হয়েছিল। নাকচ হওয়ার পর রিভিউ নিয়েও ব্যর্থ হন সাকিব-মুশফিকরা। দুর্দান্ত এই ইনিংসটি ওয়ার্নার খেলেছেন ১৫টি চার ও ১টি ছক্কার মারে।
বাংলাদেশের পক্ষে ৫ উইকেট নিয়েছেন সাকিব। টেস্টে এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো এক ম্যাচে ১০ উইকেট নিলেন সাকিব। মিরাজ ও তাইজুল ২টি উইকেট নেন। এই মুহূর্তে উইকেটে প্যাট কামিন্স ও জশ হ্যাজেলউড।