সকাল সকাল যেখানে ওয়ার্নার কিংবা স্মিথকে ফিরিয়ে দিয়ে জয়ের স্বপ্ন দেখার আশায় ছিল টাইগারদের। সেখানে সকাল সকাল সেঞ্চুরি তুলে উল্টো বাংলাদেশের ওপর রাজত্ব করা শুরু করেন ওয়ার্নার-স্মিথরা।তবে ওয়ার্নার ফিরতেই সব হিসাব উলট-পালট হয়ে গেল। এরপর একে একে ফিরে গেলেন স্মিথ, হ্যান্ডসমক, ম্যাথু ওয়েড ও অ্যাস্টন আগার। লাঞ্চ বিরতিতে যাওয়ার আগে অস্ট্রেলিয়া ৭ উইকেট হারিয়ে তুলতে পেরেছে ১৯৯ রান। জয়ের জন্য সফরকারীদের দরকার আরও ৬৬ রান। ১৪ রান নিয়ে ম্যাক্সওয়েল এবং ২ রান নিয়ে প্যাট কামিন্স অপরাজিত রয়েছেন। অন্যদিকে, বাংলাদেশের জয়ের জন্য দরকার মাত্র তিন উইকেট। তাই জয়ের স্বপ্ন এখন দেখতেই পারেন টাইগাররা।
গতকালের একটি উইকেটের সঙ্গে আজ তিনটিসহ এখন পর্যন্ত চারটি উইকেট তুলে নিয়েছেন সাকিব। বাকি তিনটির একটি মিরাজ এবং দুটি পেয়েছেন তাইজুল ইসলাম।
দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া এখন পর্যন্ত ১৯৯ রান তুলতে পারলেও স্কোরবোর্ড বলছে এক ওয়ার্নার ছাড়া সরফকারীদের বাকি সব ব্যাটসম্যানই ব্যর্থ হয়েছেন। এদিন সকালে সেঞ্চুরি করা ডেভিড ওয়ার্নারকে ১১২ রানে লিগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন সাকিব। যখন দলীয় রান ছিল ১৫৮। ব্যক্তিগত এবং দলীয় রান বলছে কতটা বিধ্বংসী ছিলেন ওয়ার্নার। বলতে গেলে একাই ম্যাচটি অস্ট্রেলিয়ার দিকে নিয়ে যান তিনি। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশি স্পিনারদের ঘূর্ণিতে ম্যাচ এখন অনেকটা বাংলাদেশের দিকে হেলে পড়েছে। তারপরও ক্রিকেট অনিশ্চিতার খেলা বলে ম্যাচের শেষ মুহূর্তের আগে কিছু বলা কারও পক্ষে সম্ভব নয়।