উইকেট নিয়ে তামিমের প্রস্তাব

Slider খেলা

a6472604635bc81b13947f1b9de66560-59a5cab02ec53

ইদানীং ঘরের মাঠের ম্যাচগুলোও বাংলাদেশ যেন খেলছে ‘নিরপেক্ষ ভেন্যু’তে! না, বাংলাদেশের ম্যাচ দুবাই, আবুধাবিতে চলে যায়নি। উইকেটের অভিনব আচরণের কারণে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়াম বা জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামই হয়ে উঠছে বাংলাদেশের জন্য অচেনা। দুই দল পাচ্ছে ‘নিরপেক্ষ’ ভেন্যুর সমান সুবিধা। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের উইকেট নিয়ে কাল তামিম ইকবাল যেমন মন্তব্য করলেন, এটা দুই দলের জন্যই অননুমেয়।

বাংলাদেশে তিন ধরনের উইকেট আছে। দুই ধরনের উইকেট দেখা যায় মাঠে। ঘরোয়া ক্রিকেটের খেলা হয় অনেকটা ন্যাড়া উইকেটে। কখনো কখনো অসম বাউন্সও থাকে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য দেওয়া হয় প্রবল ঘূর্ণির উইকেট। সেটা এতটাই যে, প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের চেয়েও অনেক সময় বেশি সমস্যায় পড়ে যান বাংলাদেশ দলের ব্যাটসম্যানরা। তৃতীয় ধরনের উইকেট অবশ্য নেই-ই। সেটি থাকে আলোচনায়। টক শো এবং বিসিবির কর্মকর্তাদের মুখে, পত্রিকার পাতায়। কল্পনার এই উইকেট ঘাসের উইকেট। বিদেশে গিয়ে যেন খেলতে অসুবিধা না হয়, সে জন্য ঘরোয়া ক্রিকেটে ঘাসের উইকেটের দাবি অনেক দিনের।

কাল দিন শেষের সংবাদ সম্মেলনে ক্রিকেটের নীতিনির্ধারকদের মুখে মুখে থাকা এই ঘাসের উইকেট নিয়েই প্রশ্ন তুললেন তামিম, ‘ঘরোয়া ক্রিকেটে আমরা ঘাসের উইকেট নিয়ে ব্যস্ত। অথচ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে (হোম সিরিজ) সে রকম উইকেটে খেলি না। এই চিন্তাগুলো বদলাতে হবে। ঘাসের উইকেটে আমরা দেশের বাইরে খেলি। হয়তো বছরে এক-দুইটা সফরেই…।’

ঘরোয়া ক্রিকেটের উইকেটের সঙ্গে হোম সিরিজের উইকেটের মিল থাকে না বলে বাংলাদেশ দল দেশে খেলেও কখনো হোম কন্ডিশনের সুবিধা পায় না। সে জন্যই আফসোস তামিমের, ‘আমাদের ঘরের মাঠের সুবিধা পাওয়া উচিত। কিন্তু ঘরোয়া ক্রিকেটে এ ধরনের উইকেটে আমরা কতটা খেলি? খেলি না। আমরা এ ধরনের উইকেটে খেলি শুধু আন্তর্জাতিক ম্যাচ এলে।’ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এ রকম টার্নিং উইকেট বানানো হলে ঘরোয়া ক্রিকেটেও তা-ই দেওয়া উচিত বলে মনে করেন বাংলাদেশ ওপেনার, ‘আমার মনে হয়, আমরা যদি দেশের মাটিতে এ ধরনের উইকেটে খেলতে চাই, তাহলে ঘরোয়া ক্রিকেটেও এ ধরনের উইকেট তৈরি করা উচিত। সব মাঠে না হলেও এক-দুইটা মাঠে; এটা হলে নতুনরা অভ্যস্ত হয়ে উঠবে।’

নিজের কথার পক্ষে তামিমের যুক্তিও শক্ত। স্পিনার হলেই তো আর টার্নিং উইকেটে হুট করে বল টার্ন করানো সম্ভব নয়। এর জন্য চাই চর্চা। স্পিনারদের হয়ে সেটারই সুযোগ চাইলেন তামিম, ‘স্পিনিং ট্র্যাক হলেই একজন স্পিনার এসে বল করে উইকেট পেয়ে যাবে না। এটাও একটা শিল্প। ঘাসের উইকেটের চিন্তা বাদ দিয়ে এসব নিয়ে যদি ভালোভাবে চিন্তা করা হয়, তাহলে বেশি কাজে দেবে।’

টেস্টের সহ-অধিনায়ক তামিমের প্রস্তাবটা কি ভেবে দেখবে বিসিবি?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *