ফলে ইজারাদাররা লোকসানের মুখে পড়ার শঙ্কা প্রকাশ করছেন।
অভিযোগ উঠেছে, ইজারাদার কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব আদায় করতে নানা কৌশল হাতে নিয়েছে। বাজারে খুঁটি বাণিজ্য, জেনারেটরের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ ও ত্রিপল টাঙানোর নামে পশু বিক্রেতাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করছে।এদিকে, কোরবানির বাকি আর মাত্র তিনদিন। এরই মধ্যে চট্টগ্রামের বাজারগুলোতে পশু বিক্রি জমে উঠেছে। অনেক বাজারে চলছে রাতদিন সমানতালে ক্রয়বিক্রয়।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) রাজস্ব বিভাগ সূত্রে জানা যায়, নগরে বর্তমানে স্থায়ী দু’টি এবং অস্থায়ী ছয়টি পশুরু বাজার আছে। স্থায়ী দুটি হলো- সাগরিকা ও বিবিরহাট এবং অস্থায়ী ছয়টি হলো কর্ণফুলী পশুর হাট, সল্টগোলা রেলক্রসিং পশুর হাট, স্টিলমিল পশুর হাট, হালিশহর কমল মহাজন পশুর হাট, পতেঙ্গা চসিক উচ্চবিদ্যালয় মাঠ (কাঠগড়) পশুর হাট ও পোস্তার পাড় পশুর হাট। চসিক বাজারগুলো দরপত্রের মাধ্যমে ইজারা দেয়। কিন্তু অবৈধ বাজারগুলো স্থানীয়ভাবে যার যেভাবে ইচ্ছা ১০-১৫ অথবা ২০ থেকে ৪০টি গরু নিয়ে বাজার বসিয়ে দিচ্ছে। এ নিয়ে কারো কাছে কোনো জবাবদিহিতা করতে হচ্ছে না। তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করছে নগরের প্রবেশ পথ মইজ্জ্যারটেকের সিডিএ মাঠের বাজার। এর বাইরে আছে- হালিশহর হাউজিং এস্টেট মাঠ, হালিশহর বি-ব্লক মাঠ, মহেশখালের পাড় এলাকায়, আশেকানে আউলিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠ, সিডিএ অনন্যা আবাসিক এলাকা, অক্সিজেন মোড়, লোহারপুল, আতুরারডিপো, জঙ্গি শাহ মাজার এলাকায়, তুলা কোম্পানির সামনে, ওয়াজেদিয়া রাস্তারর মাথা, বটতলী বাজার, পলিটেকনিক্যাল মোড়সহ একাধিক এলাকায় অবৈধ হাট বসে।
বাজার সাগরিকা বাজারের ইজারাদার সাইফুল হুদা জাহাঙ্গীর বললেন, নগরের অবৈধ বাজারের কারণে আমরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হই। বিভিন্ন স্থানে অন্তত ৬০ স্থানে অবৈধ বাজার বসছে। এ ব্যাপারে চসিক ও জেলা প্রশাসনকে আমরা অবহিত করেছি। এমন অবস্থা চললে কাঙ্ক্ষিত ইজারা আদায়ও আমাদের পক্ষে কঠিন হয়ে যাবে। ’
চসিকের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ড. মুহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘নগরের অবৈধ পশুর হাটের নেতিবাচক প্রভাব বৈধ হাটে পড়ে। তাই সোমবার অভিযানে চারটি এবং মঙ্গলবার তিনটি হাট উচ্ছেদ করেছেন ম্যাজিস্ট্রেট। আগামীকালও অভিযান চালানো হবে। অবৈধ হাটের ব্যাপারে আমরা কাউকেই ছাড় দিচ্ছি না। ’
এদিকে, মঙ্গলবার দুপুরে নগরের বিবিরহাট গরু বাজার ঘুরে দেখা যায়, দুপুর থেকেই ক্রেতারা পশু কেনা শুরু করে দিয়েছে। জমে উঠেছে পশু কেনাবেচা। একই অবস্থা দেখা যায় নগরের আরেক বৃহত্তম হাট কর্ণফুলী বাজারের। এই বাজারের ইজারাদার মো. সোলায়মান বলেন, চট্টগ্রাম নগরের মানুষ কোরবানির দুই-তিন দিন আগেই পশু কিনে। তাই মঙ্গলবার থেকে ক্রয়বিক্রয় বেশ জমে উঠেছে।
তিনি বলেন, চট্টগ্রামে স্থানীয় পশু ছাড়াও রাজশাহী, নাটোর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, সাতক্ষীরা, পটুয়াখালী, কুষ্টিয়াসহ উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে ব্যবসায়ীরা গরু এনেছেন। বাজারে এখন প্রচুর সংখ্যক পশু আছে। ফলে দাম ক্রেতার নাগালের মধ্যে থাকবে।