সীমান্তে কাঁটাতারের প্রাচীর ভেঙে অনুপ্রবেশ অব্যাহত

Slider সারাবিশ্ব
80947_d2
মিয়ানমারের রাখাইন (আরকান) রাজ্যে রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকাগুলোর আকাশে সে দেশের সেনাবাহিনী হেলিকপ্টার নিয়ে মহড়া দিচ্ছে। মহড়ার পাশাপাশি ঘরবাড়িতে আগুণ দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম।

গুলিবর্ষণ করা হচ্ছে সাধারণ মানুষের উপর। নির্মম ভাবে হত্যা করা হচ্ছে নারী-পুরুষ ও শিশুদের। এ কারণে প্রতিদিনই রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে এসে সীমান্তের জিরো পয়েন্টের তুমব্রু ও জলপাইতলি এলাকায় আশ্রয় নিচ্ছে হাজার হাজার রোহিঙ্গা। এদিকে অনেকে আবার সুযোগ বুঝে বাংলাদেশে প্রবশে করছেন। সীমান্তে কাঁটাতারের প্রাচীর ভেঙে অনুপ্রবেশ অব্যাহত রয়েছে।মঙ্গলবার সকালে জিরো পয়েন্টে চলে আসা মিয়ানমারের লাপ্পিয়া এলাকার শামসুল আলম (৩২) হতাশা নিয়ে বলেন, আমার স্ত্রী জামালিদা বেগম (২২) ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। আর কয়দিন পর সন্তান ভূমিষ্ঠ হবে। তাই ব্যাপক সহিংসতার পরও চেষ্টা করেছিলাম সেখানে থাকতে। আজ সকাল থেকে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী, বর্ডার গাড অব পুলিশ (বিজিপি) এবং রাখাইন যুবকরা একত্রিত হয়ে ঢেকিবনিয়া এলাকার ফকির পাড়া, মিয়ারপাড়া, দক্ষিণ ঢেকিবনিয়া ৩টি গ্রামে অর্ধশতাধিক বসতবাড়ীতে আগুন দেয়, এতে আমার বাড়িও পুড়ে ছাঁই হয়ে যায়। কিছুই বের করতে পারিনি। গায়ের কাপড়গুলো নিয়ে জীবন বাঁচাতে চলে এসেছি সীমান্তের জিরো পয়েন্টে।

সরেজমিনে মিয়ানমার সীমান্তের একাধিক পয়েন্ট ঘুরে দেখা গেছে, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের আকাশে একটি হেলিকপ্টার চক্কর দিয়ে ঢেকিবনিয়া ক্যাম্পে ল্যান্ড করে। কিছুক্ষণ পর পুনরায় মংডু শহরের দিকে চলে যায়। এভাবে হেলিকপ্টারটি প্রতিনিয়ত চক্কর দিতে থাকে বলে রোহিঙ্গা গৃহবধূ সাজেদা বেগম (২০) জানিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *