আজ ঢাকার ছয় নম্বর বিশেষ জজ কে এম ইমরুল কায়েসের আদালত দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা নন-সাবমিশন মামলাটির এ রায় দেন। এটি রানার বিরুদ্ধে মামলাগুলোর মধ্যে প্রথম কোনো রায়। রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় এক হাজারের বেশি শ্রমিক নিহতের ঘটনায় রানার বিরুদ্ধে হত্যা ও ইমারত আইনে আরও দুটি মামলার বিচার চলছে।২০১৩ সালের ২২ মে রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানা, তার স্ত্রী এবং তার ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তিদের নামে, বেনামে অর্জিত যাবতীয় স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির দায়-দেনা ও আয়ের যাবতীয় সম্পদের বিবরণী দাখিলের নোটিশ জারি করে দুদক। এর আগে থেকেই রানা কাশিমপুর কারাগারে থাকায় তার নামীয় নোটিশ জারি করা যায়নি। পরে কারাগারেই নোটিশ জারির সিদ্ধান্ত নেয় দুদক।
এ সংক্রান্ত আইনি জটিলতার নিরসন করে ২০১৫ সালের ০১ এপ্রিল সোহেল রানার নামীয় ইস্যুকৃত সম্পদ বিবরণীর নোটিশ বিশেষ বাহকের মাধ্যমে কাশিমপুর কারাগারে পাঠায় দুদক। ০২ এপ্রিল নোটিশটি সোহেল রানার কাছে পাঠান জেল সুপার। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে সম্পদ বিবরণী দাখিল না করে প্রথমে স্ত্রীর মাধ্যমে সময় বাড়ানোর আবেদন জানিয়েছিলেন রানা।
মামলাটির তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক মাহবুবুল আলম সোহেল রানার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন-২০০৪ এর ২৬ (২) ধারায় আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন। গত ২৩ মার্চ সোহেল রানার বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করে এ মামলার বিচার শুরু করেন আদালত। গত ২২ আগস্ট উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক (আর্গুমেন্ট) উপস্থাপন শেষে ২৯ আগস্ট রায়ের দিন ধার্য করেন আদালত। ২০১৩ সালের ২৮ এপ্রিল সোহেল রানাকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন।