কারণ রাজধানীতে বেশিভাগ মানুষই কোরবানি গরু কিনেন ঈদের দুই-একদিন আগে। মূলত গরু রাখার ঝামেলা এড়াতেই এমনটি হয়। অার তাই এখন পশুর হাটে ঘুরে ফিরে গরু না কিনেই বাড়ি ফিরছেন তারা। তবে বুধবার থেকে জমে উঠতে পারে বেচা-বিক্রি।রাজধানীর বিভিন্ন গরুর হাট ঘুুরে দেখা গেছে, এবার হাটে প্রচুর গরু এসেছে, এছাড়া চাঁদরাতের আগের দিন পর্যন্ত প্রতিদিনই হাটে গরুর আমদানি হবে বলেও জানা গেছে।
পাবনা থেকে তিনটি ট্রাকে করে গরু নিয়ে গাবতলী গরুর হাটে এসেছেন রান্নু, শাহিনুর। গত শুক্রবার রাতে এসে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন তারা। শনিবার সকাল থেকে সোমবার পর্যন্ত ৪০টি গরুর একটিও বিক্রি করতে পারেননি তারা।
রান্নু বলেন, এখনও গরু বিক্রির মুখ দেখতে পারি নাই। কী হবে বুঝতেছি না। তিনদিন ধরে আছি। মানুষজন এসে গরুর দাম শুনে চলে যায়। হয়ত সামনের দিনগুলোতে বেচা বিক্রি হবে। শুধু রান্নু নয়, গাবতলীর পশুর হাটে এখন পর্যন্ত বিক্রির মুখ দেখেননি অনেকে। তেমনি একজন কুষ্টিয়ার ব্যবসায়ী হাবিজুর।
তিনি বলেন, শনিবার রাতে ঢাকায় এসেছি। গরু নিয়ে আসছি তিনটা। আমার সঙ্গে আমার এলাকার অনেকেই এসেছেন। তবে আমাদের কারও গরু বিক্রি হয়নি। ক্রেতারা দাম কেমন বলছেন এমন প্রশ্নের উত্তরে কুষ্টিয়ার ফজলুর রহমান বলেন, সবার কথা জানি না। আমার একটা গরুর দাম চাইছি সাড়ে ৩ লাখ। কিন্তু যারা গরু দেখতে আসছে তারা দেড় লাখ দাম উঠাইছে।
আসার পথে পুলিশের হয়রানির মুখে পড়তে হয়েছিল এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, না। এবার এ ধরনের কিছুর সম্মুখীন আমরা হইনি।
এদিকে গাবতলীর গরুর হাটকে ঘিরে পুলিশের নিরাপত্তা লক্ষ্য করা গেছে। এছাড়া নকল টাকা রোধে দেখা গেছে র্যাবের একটি ছাউনি।
বাজারে গরুর দাম কেমন, এমন প্রশ্নের উত্তরে নুর নামে একজন জানান, গরুর দাম মোটামুটি। তবে সাড়ে তিনলাখ টাকায় ভালো গরু, তবে লাখের নিচে গরু খুব একটা নেই। থাকলেও ওই ৭০ থেকে ৮০ হাজার।
মিরপুর ১০ নম্বর থেকে এসেছেন নাইম। তিনি বলেন, ভাই গরুর দাম দেখতে আসছি। দাম মোটামুটি। বৃহস্পতিবারের ওইদিকে হয়তো দাম একটু পরবে। তখন গরু কিনব।