দেড় ঘণ্টার পথ পাড়ি দিতে সময় লাগছে ৫-৭ ঘণ্টা।গত কয়েক দিন ধরে টানা বৃষ্টির কারণে মহাসড়কের অধিকাংশ স্থান থেকে পিচ ঢালাই উঠে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে যানবাহন চলাচল অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
আজ মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে গিয়ে দেখা গেছে, মহাসড়কের কালিয়াকৈরের চন্দ্রা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত প্রায় ৭০ কিলোমিটার সড়ক এখন খানা খন্দকে ভরা। কালিয়াকৈরের চন্দ্রা মোড় থেকে মির্জাপুরের জামুর্কি পর্যন্ত পুরো সড়কই যানজটে স্থবির।
এদিকে যানজটের ফলে এ মহাসড়কে বাড়ছে চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাই। গত কয়েক মাস ধরে চলছে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে এ দুরবস্থা। ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মির্জাপুরে প্রায় ৭০ কিলোমিটার এলাকায় যানজট এখন স্থায়ী রূপ নিয়েছে। ফলে যাত্রীদের ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।
উত্তরাঞ্চলের ২২ টি জেলার যানবাহন এবং টাঙ্গাইল, জামালপুর ও শেরপুর জেলার যানবাহন ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক দিয়ে চলাচল করে আসছে। যানজটে স্থবির হয়ে পরেছে পুরো মহাসড়ক।
মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন বলেন, যানজটের মূল কারণ এ মহাসড়কের চন্দ্রা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত ভাঙ্গাচোরা রাস্তা ও অসংখ্য খানা খন্দক ও ভাঙ্গাচোরা ব্রিজ। এছাড়া চার লেনের কাজ হলেও সড়ক ও জনপথ বিভাগ এবং চারলেনের কাজে নিয়োজিত দুইটি কোম্পানির মধ্যে সমন্বয়হীনতার অভাবে এ রোডে প্রতিনিয়তই যানজট হচ্ছে।
এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী নাজমুল আলম বলেন, টানা বৃষ্টি থাকার কারণে ভাঙ্গাচোরা রাস্তা মেরামত করতে একটু বিলম্ব হয়েছিল। এখন আবহাওয়া ভাল হওয়ায় মেরামতের কাজ পুরোদমে শুরু হয়েছে।