আবার ঈদের পর ৪ সেপ্টেম্বর থেকে ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বরিশাল থেকে ঢাকামুখি ডাবল ট্রিপের ব্যবস্থা করা হয়েছে।ঢাকা-বরিশাল রুটে ৩০টিসহ দক্ষিণের বিভিন্ন রুটে এবার চলাচল করবে সরকারী-বেসরকারী দেড় শতাধিক বড় বড় লঞ্চ-স্টিমার। এরমধ্যে এ রুটে নতুন যুক্ত হয়েছে এমভি সুন্দরবন-১১ এবং এমভি এডভেঞ্চার-১ নামে দুটি বড় নৌযান। বরিশাল বিআইডব্লিউটিএ এ তথ্য জানিয়েছে।
ঈদে ঢাকা-বরিশাল রুটে সুন্দরবন, সুরভী, পারাবত, কীর্তনখোলা, টিপু, দ্বীপরাজ, কালাম খান, তাসরিফ, দেশান্তর, এডভেঞ্চার, গ্রীনলাইন সহ বেসরকারী মোট ২৪টি লঞ্চ বিশেষ সার্ভিসে চলাচল করবে। এছাড়া সরকারী নৌযান সংস্থা বিআইডব্লিউটিসি’র ৬টি স্টিমার নৌপথে যাত্রীসেবায় নিয়োজিত থাকবে।
সুন্দরবন নেভিগেশনের ব্যবস্থাপক মো. জাকির হোসেন জানান, ঢাকা প্রান্ত থেকে ঈদের বিশেষ সার্ভিস ২৮ আগস্ট থেকে শুরু হয়ে পহেলা সেপ্টম্বর পর্যন্ত চলবে। ঈদ উদযাপন শেষে ৪ সেপ্টম্বর থেকেই মানুষ কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করবে। তাই বরিশাল থেকে ঢাকাগামী নৌযানের বিশেষ সার্ভিস চালু থাকবে ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
বরিশাল বিআইডব্লিউটিএ’র উপ-পরিচালক (নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা) আজমল হুদা মিঠু জানান, বরিশাল-ঢাকা রুটে সরাসরি দিবা ও রাত্রীকালীন বেসরকারী ১৯টি নৌযান চলাচল করলেও ঈদ উপলক্ষে ২৪টি লঞ্চের মাধ্যমে যাত্রীসেবা দেয়া হবে। যাত্রীদের চাপ বাড়লে অবস্থা বুঝে আরো ২/১টি লঞ্চ সংযোজন করা হতে পারে। এছাড়া সরকারী ব্যবস্থাপনায় ৬টি স্টিমার যাত্রী পরিবহন করবে।
এদিকে সারা বছর নৌযানের ডেক যাত্রী ভাড়া ১ শ’ থেকে ২শ’ টাকা করে আদায় করা হলেও ঈদের এই সময়ে আড়াই শ’ টাকা করে ডেক যাত্রী ভাড়া আদায়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নৌযান মালিকরা। যদিও মালিক পক্ষ সরকার নির্ধারিত ২৫৫ টাকা ভাড়া আদায় করার কথা বলেছেন।
বরিশাল-ঢাকা নৌরুটে সারা বছর ডেক যাত্রী প্রতি ভাড়া নেয়া হচ্ছে এক থেকে দুই শ’ টাকা। বছরের অন্যান্য সময় সিঙ্গেল কেবিন ৯শ’ এবং ডাবল কেবিনের ভাড়া আদায় করা হয় ১৮০০ টাকা। কিন্তু ঈদ উপলক্ষে ডেক যাত্রী ভাড়া জনপ্রতি আড়াই শ’, সিঙ্গেল কেবিন ১ হাজার থেকে ১১০০ এবং ডাবল কেবিনের ভাড়ায় ২হাজার থেকে ২২শ’ টাকা আদায়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নৌযান মালিকরা।
লঞ্চ মালিক সমিতি কেন্দ্রিয় কমিটির সহ সভাপতি সাইদুর রহমান রিন্টু জানিয়েছেন, তারা ঈদে নৌযানে যাত্রী ভাড়া বাড়াননি। সরকার নির্ধারিত ভাড়া আদায় করবেন। তিনি বলেন, বছরের অন্যান্য সময় তারা সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে কম ভাড়ায় যাত্রী পরিবহন করে থাকেন। এতে তাদের লোকসান গুনতে হয়। সারা বছরের লোকসান কাটিয়ে উঠতে তারা ঈদ সহ বিভিন্ন উৎসবে সরকার নির্ধারিত ভাড়া আদায় করেন।