দীর্ঘ ১৬বছর ধরে চলা সংঘাতের অবসান করতেই উদ্যোগ নিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
তালিবানদের হুমকি উপেক্ষা আফগানিস্তানে আরও সেনা পাঠাতে চলেছে আমেরিকা। যার জেরে সমস্যার সম্মুখীন পাকিস্তান।যদিও এ বিষয়ে এখনও মুখ খোলেননি পাক প্রধানমন্ত্রী শাহিদ আব্বাসী। কিন্তু পররাষ্ট্রমন্ত্রী খাওয়াজা আসিফ এই বিষয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন, ওয়াশিংটন পাকিস্তানকে মিথ্যা ভাবে ‘বলির পাঁঠা’ করতে চাইছে। এমনকি পাকিস্তান মারফত জঙ্গি অনুপ্রবেশের বিষয়টিও একেবারেই ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন তিনি।
দিন দুয়েক আগে পাকিস্তানকে জঙ্গিদের ‘স্বর্গরাজ্য’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপরেই আফগান সংবাদসংস্থায় একটি খবর প্রকাশিত হয়। যেখানে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আফগানিস্তানে সন্ত্রাসবাদী হামলায় মদত দিচ্ছে পাকিস্তান। তাই জঙ্গিদমন প্রক্রিয়ায় কোনওভাবেই ইসলামাবাদকে বিশ্বাস করা যায় না। এমনকি জঙ্গিদমন অভিযানে বারবারই সহযোগী দেশকে পাকিস্তান কার্যত পিঠে ছুরি মেরে সরে গিয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে ওই প্রতিবেদনটিতে। তাই পাকিস্তানকে কোন ভাবেই দ্বিতীয়বারের জন্য সুযোগ দেওয়া উচিত নয় বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয় ওই আফগান প্রতিবেদনে।
একইসঙ্গে জঙ্গি অনুপ্রবেশের ব্যাপারে পাকিস্তানকে আর কোন ভাবেই আস্কারা দেবে না আমেরিকা। একথাও জানিয়ে দিয়েছিলেন ট্রাম্প। একইসঙ্গে নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়েও পাকিস্তানকে আর কোনওরকম সাহায্য করবে না আমেরিকা। কার্যত এই হুঁশিয়ারিতেই নড়েচড়ে বসেছে পাকিস্তান।