বুধবার সকাল ৯টা ৫ মিনিটে ভিসির ব্যক্তিগত মুঠোফোনে বাংলায় ক্ষুদে বার্তা (এসএমএস) পাঠিয়ে হুমকি দেওয়া হলেও তিনি মেট্রোপলিটন পুলিশের বন্দর থানায় সাধারণ ডায়রি করেন বিকেল ৪টায়। ওই থানার ওসি বিষয়টি কাউকে না বলতে অনুরোধ করায় হুমকির বিষয়টি কাউকে বলেননি ভিসি।
তিনি জানান, ক্ষুদে বার্তায় বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে তাদের দেওয়া প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী নিয়োগ সম্পন্ন করার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। এটা না করলে তাকে হত্যা করা হবে বলে ক্ষুদে বার্তায় হুমকি দেওয়া হয়। সারা দিন চিন্তাভাবনার পর বিকেলে বন্দর থানায় সাধারণ ডায়রি করেছেন বলে জানান ভিসি।
এ ব্যাপারে বন্দর থানার ওসি মোস্তফা কামাল জানান, ভিসির দায়ের করা সাধারণ ডায়রির প্রেক্ষিতে আদালতের অনুমতিক্রমে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
সম্প্রতি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯টি পদের বিপরীতে ৪১ জন জনবল নিয়োগের লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। যার চূড়ান্ত ফলাফল এখনও প্রকাশিত হয়নি। এই নিয়োগে মুক্তিযোদ্ধা কোটা অনুসরণ করা হয়নি অভিযোগ তুলে পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিলের দাবিতে গত ১৭ জুলাই নগরীতে মানববন্ধন করে মুক্তিযুদ্ধের সন্তান কমান্ড নামে একটি সংগঠন। এরপর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও প্রগতিশীল কয়েকটি সংগঠনও ওই নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিলের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে।
২৩ জুলাই থেকে একই দাবিতে ক্যাম্পাসে আন্দোলন শুরু করে ছাত্রলীগ। এই আন্দোলনে তেমন গতি না পেলে ওই দাবির সাথে কিছু মৌলিক দাবি যুক্ত করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহনে আন্দোলনে এক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়। পরে সরকারের শীর্ষ মহলের নির্দেশে স্থানীয় রাজনৈতিক-সামাজিক নেতৃবৃন্দের সাথে প্রশাসন ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এক বৈঠকে ৩১ জুলাই অচলাবস্থার অবসান হয়।