বগুরায় নির্যাতিত মা, মেয়ের পাশে যুক্তরজ্যের সাউথ ওয়েলস সুনামগঞ্জ ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন

Slider গ্রাম বাংলা বাংলার মুখোমুখি সামাজিক যোগাযোগ সঙ্গী

21039759_868386793328045_232510127_n

 

 

 

 

 

 

 

বিশেষ প্রতিনিধি:  বগুরায় গত ২৮জুলাই সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি দুধর্ষ সন্ত্রাসি ক্যডার চাদাবাজ তুফান সরকার ও তার ক্যডার বাহিনী দ্বারা ধর্ষিত ও নির্যাতিত মা,মেয়ে কে সহযোগিতার হাত বারিয়েছে যুক্তরজ্যের সাউথ ওয়েলসভাবে সুনামগঞ্জ ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন।

গত ২২/০৮/২০১৭ সোমবার সংগঠনের এক বিশেষ সভায় বগুরার ত্রাশ তুফানের তান্ডবে লণ্ড ভণ্ড অসহায় এ পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয় । নির্যাতিতা কলেজ ছাত্রীর বাবা মোঃ ইয়াকুব আলী সোহাগ এর কাছে সহায়তার অর্থ প্রদান করা হয় ।

সংগঠনের আহবায়ক মোঃ মুজিবুর রহমান বলেন আমি নির্যাতিত মা ও মেয়ে সাতে বগুরা হাসপাতালে চিকিৎসা রত অবস্তায় হাসপাতালের সমাজসেভা অফিসারের মাধ্যমে কথা বলেছি এবং তাদের সার্বিক অবস্তার খোজ খবর নিয়েছি। আলাপ চারিতায় মা মেয়ে তাদের উপর নির্যাতনের করুন কাহিনী বর্ণনা করছিল আর কান্নায় ভেঙ্গে পরছিল । অবাক হবার বিষয় যে এখন ও কেহ তাদেরকে আর্থিক সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেন নি । শুধু মিডিয়া ও কিছু সংস্হার লোক আসে এবং অনিচ্ছা সত্তেও তাহারা তাদের ফটোতুলে নিয়ে যায় এত টুকুই ।

21040710_868386799994711_2096027906_n

 

 

 

 

 

 

 

 

গত ৭আগষ্ট বগুরার শিশু আদালত মেয়ে সোনালিকে রাজসাহী সেইফ হোমে ও মা কে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে পাঠানোর আদেশ দেন । এর ফলে পরিবারটি আরো মারাত্মক ভোগান্তিতে পরেছে। অনুন্নত সেইফ হোম ও ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার জেলখনার মতই। এখন মা মেয়ে আর বাবা তিনজন তিন জায়গায় থাকেন। বাবা একজন দরিদ্র চা দোকানদার । ভারা বাসায় থাকেন । – নিজে থাকার কোন ভিটেমাটি নাই । এখন বগুরা হতে স্ত্রী কন্যা কে রাজশাহী গিয়ে দেখা করা ও মামলা পরিচালনা করার মত টাকা পয়সা তার নাই । সব মিলিয়ে তাহারা এখন দিশে হারা । এ যেন মরার উপর খাড়া গা । তিনি আর বলেন গত ২১ তারিখ আমি নির্যাতিত মায়ের সাতে কথা বলেছি । তখন তিনি মাথা ব্যথা ও জ্বরে কাতরাচ্ছিলেন । কান্নাজরিত কণ্ঠে বলছিলেন আমরা ভাল নাই বাবা। গায়ে প্রচণ্ড জ্বর । ওরা ৭/৮ জন মিলে আমাকে মারছে আমার মেয়েকে মারছে । ৪/৫ঘন্টা যাবৎ ওরা শুধু মারছে । এক পর্যায়ে শুধু প্রানটা ছিল এই আকি। আমার মেয়ে পানি চাইছিল ওরা পানি দেয় নাই । এখন তিন জন তিন জায়গায় আছি অনেক কষ্ঠে আছি বাবা এখন কি করব বা কোথায় যাব কিছু বলতে পারছিনা । বগুরায় থাকতে পারবনা এরা অনেক প্রতাপশালী ইত্যাদি ইত্যাদি । তাই আমি আমাদের সংগঠনে ব্যপারটা আলোচনা করি এবং উপস্তিত সদস্যগনের সম্মতিতে তাদেরকে সাধ্যমত সহযোগিতার সিদ্ধন্ত হয় । আমি আহবান করছি আমাদের সংগঠনের বাহিরেও সক্ষম মহৎ প্রাণ ব্যক্তিগন তাদের প্রতি সহযোগিতার হাত বারিয়ে যেন এগিয়ে আসেন ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *