রাজ্জাক ভাই ম্যাজিশিয়ান ছিলেন। ক’জন জানেন? টালিগঞ্জের নাকতলা থেকে ঢাকা এলেন।
দুঃসহ জীবন সংগ্রাম। ম্যাজিক শিকেয় উঠলো। কিন্তু জাদুর প্রতি পাগলামিটা রয়েই গেল। যে কোন আড্ডায় বসলে ম্যাজিকের গল্পে আসর মাতিয়ে তুলতেন। আমার যেসব অনুষ্ঠানে তিনি উপস্থিত থাকতেন, তিনি একাই এক শ’ হয়ে উঠতেন।সামনের সারিতে সদলবলে বসে হাত তালি, অট্টহাসি, চিৎকারে হাজার দর্শককে মাতোয়ারা করে তুলতেন। ‘ছুটির ঘণ্টা’ ছবিতে আমরা এক সঙ্গে অভিনয়ও করলাম। ছবিটি সুপার হিট হল। রাজ্জাক ভাই বার বার আমায় সিনেমায় স্থায়ী ভাবে নামতে বললেন। তিন জন নামী প্রযোজককে গল্প ও পরিচালকসহ আমার পিছে লাগিয়ে দিলেন। আমি না করায় দুঃখও পেয়েছিলেন।
হায়! নায়করাজ চিরতরে চলে গেলেন। কাছে টেনে ওভাবে আমায় কে আর বুকে জড়িয়ে ধরবেন? আমার সামান্য জাদুকে আকাশের সমান উঁচুতে তুলে প্রশংসা করার মানুষরা একে একে চলে যাচ্ছেন আর জীবনের সেরা সেরা আনন্দ গুলো একে একে হারিয়ে যাচ্ছে। নিরানন্দ জীবন তাহলে কেমন হবে? কা’কে জিজ্ঞেস করি কেমন হবে?