ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সরকারের কাছে সার্বিক সহায়তা দাবি করেছেন কৃষকেরা।জানা যায়, জুলাই ও আগষ্ট মাসে দু’দফা যমুনার পানি বৃদ্ধি পেয়ে জেলার পাঁচটি উপজেলার তিন শতাধিক গ্রামসহ ফসলি জমি তলিয়ে যায়। ফলে জেলার প্রায় চার হেক্টর জমির রোপা আমন, পাট, ধইনচা ও শাক-সবজি তলিয়ে নষ্ট হয়ে যায়। এতে কৃষকরা চরম ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে।
সদর উপজেলার কাওয়াকোলা ইউপির কৃষক হাসেন আলী জানান, ৫ বিঘা জমিতে পাট আবাদ করেছিল, দুই বিঘা নষ্ট হয়ে গেছে। তিন বিঘা জমির পাট জাগ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু প্রবল স্রোতে ভেসে গেছে। আর জমির ধান সম্পন্ন নষ্ট হয়ে গেছে।
একই অবস্থা কাওয়াকোলা ও মেছড়া ইউনিয়নের কৃষি জমির। এ অবস্থায় বন্যার পানি নেমে যাবার সরকার যদি সহায়তা না করে, তবে কৃষকদের চরম কষ্টে দিনযাপন করতে হবে। তাই সরকারের কাছে সার-বীজসহ সার্বিক সহায়তার দাবি করছেন জনপ্রতিসহ কৃষকরা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আরশেদ আলী জানান, দুই বারের বন্যায় প্রায় ২৮০ কোটি টাকার ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ইতোমধ্যে ক্ষতিপূরণের বিবরণসহ কৃষকদের সহায়তার জন্য কৃষি মন্ত্রণালয়ে আবেদনও করা হয়েছে। এ অবস্থায় সরকার যদি কৃষি পুনর্বাসন কর্মসূচি গ্রহণ করে, তবে কৃষকেরা ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবে বলে মনে করেন এই কর্মকর্তা।