সৌদি আরবে আবারো বিদেশী শ্রমিক কমানোর সুপারিশ করা হয়েছে। বর্তমানে সেখানে যে পরিমাণ এমন শ্রমিক রয়েছেন তাদের সংখ্যা অর্ধেকে নামিয়ে আনার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে অনলাইন সৌদি গেজেটের এক প্রতিবেদনে। এতে বলা হয়েছে, জুলাইয়ে বিদেশী শ্রমিকদের ওপর বাড়তি ফি আরোপ করা হয়েছে। এর ফলে অনেক শ্রমিক যার যার দেশে ফিরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। এর ফলে যেসব কর্মক্ষেত্র ফাঁকা হচ্ছে, সেখানে সৌদি আরবের যুবক যুবতীকে নিয়োগ দেয়ার বিষয়টি জোর দিয়ে তুলে ধরা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে। এতে বলা হয়েছে, সৌদি আরবে কমপক্ষে এক কোটি বিদেশী শ্রমিক কর্মরত। এর মধ্যে আছেন বাংলাদেশী, ভারতীয়, পাকিস্তানি, মিশরীয়, ইয়েমেনি। সব মিলিয়ে তাদের সংখ্যা এক কোটি ৩ লাখ। এতে বলা হয়, সেখানে কর্মরত ১২ লাখ বাঙালি, ৩০ লাখ ভারতীয়, ২৫ লাখ পাকিস্তানি, ২২ লাখ মিশরীয় ও ১৪ লাখ ইয়েমেনি। জরিপে দেখা গেছে, সৌদি আরবে এ বছরের প্রথম তিন মাসে সৌদি আরবের নাগরিক নন এমন কর্মীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক কোটি আট লাখ ৫০ হাজার ১৯২। সব মিলেয়ে এ সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক কোটি ৩৮ লাখ ৮৯ হাজার ১৩৭। এ অবস্থায় সৌদি আরবে বিদেশী শ্রমিক কমিয়ে আনার আহ্বান আবারো জোরালো হয়েছে। বলা হয়েছে, সৌদি আররে কমপক্ষে অর্ধেক করতে হবে বিদেশী শ্রমিক। প্রস্তাব করা হয়েছে, সৌদি আরবের নিজস্ব নাগরিকরা উচ্চ দক্ষতা সম্পন্ন নয় এমন খাতে বিদেশী শ্রমিকদের নিয়োগের সুযোগ রেখে বিধিনিষেধ দিতে। তাতে বলা হয়েছে, যেসব ক্ষেত্রে সৌদি আরবের নিজস্ব বিশেষজ্ঞ নেই সেসব খাতে বিদেশী শ্রমিক বা বিশেষজ্ঞ নিয়োগ দেয়া যেতে পারে। উল্লেখ্য, এ রকম অনেক খাতে বিদেশী শ্রমিকদের ওপর থেকে নির্ভরতা কমিয়ে আনতে বিপুল পরিমাণ পদক্ষেপ নিয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। তা করতে গিয়ে সময়ে সময়ে নিতাকাত বা জাতীয়করণ স্কিমে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে নতুন নতুন বিধান। এসব ক্ষেত্রে জোর দেয়া হয়েছে বিকলাঙ্গদের সেবাদানকারী কেন্দ্র, কৌশলগত অংশীদারিত্ব বিষয়ক প্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্য বিষয়ক কলেন, নারীদের সেবাদানকারী ক্ষেত্র, শিশুদের হাসপাতাল, নারীদের কসমেটিক সেন্টার, নারীদের সেলাই কেন্দ্র, পবিত্র দুই মসজিদের প্রকল্পে নির্মাণ খাত, গ্যাস স্টেশন ও হজযাত্রীদের পরিবহন খাত। বিশেষ কিছু ক্যাটেগরি যেমন ফটোগ্রাফির দোকান, নারীদের স্পোর্টস সেন্টার নারী কর্মীর ওপর খুব বেশি নির্ভরশীল।