ভারতের রাজ্য সরকার নিয়ন্ত্রিত গোশালায় একের পর এক গরুর মৃত্যু নিয়ে ঘোর চাপে দেশটির ছত্তিশগড় সরকার। গত এক সপ্তাহে ১৭৩ গরুর মৃত্যুতে বরখাস্ত হয়েছে ৯ কর্মকর্তা।
এই ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছে ২ গোশালা কর্মী।
বিজেপি শাসিত রাজ্যে গোমৃত্যু নিয়ে শোরগোলের পেছনে রয়েছে আর একটি বড় কারণ। সেটি হল, গোশালাগুলিতে গরুর মৃত্যু হয়েছে তার মধ্যে একটি আবার এক বিজেপি নেতা পরিচালনা করেন।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত এক সপ্তাহে ১৭৩টি গরুর মৃত্যু হয়েছে। ছত্তিশগড় রাজ্য গৌ সেবা আয়োগের চেয়ারম্যান বিশ্বেশ্বর পটেল পিটিআইকে জানিয়েছেন, দূর্গ জেলার রাজপুর গ্রামের শাগুন গোশালায় ৫২টি, গড়মারা গ্রামের ফুলচাঁদ গোশালায় ১০৬টি এবং রানো গ্রামের ময়ূরী গোশালায় ১৫টি গরুর মৃত্যু হয়েছে।
এরপরেই সেখানে কৃষি ও পশুপালন দফতরের মন্ত্রী ব্রিজমোহন আগরওয়াল নয় অফিসারকে কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগ বরখাস্ত করার নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে কারণ দর্শানোর নোটিস দেওয়া হয়েছে গৌ সেবা আয়োগের সচিবকেও।
কৃষি ও পশুপালন দফতরের মন্ত্রী ব্রিজমোহন আগরওয়াল এখন সরকারি সফরে ইসরায়েলে রয়েছেন। সেখান থেকেই তিনি তাঁর দফতরের সচিব সে কে পান্ড্যের কাছে গোটা ঘটনার দ্রুত রিপোর্ট তলব করেছেন। সরকারি সুবিধাপ্রাপ্ত শাগুন গোশালার মালিক হরিশ ভার্মা বিজেপি নেতা এবং জামুল পুরসভার সহ-সভাপতি। তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এছাড়াও গ্রেফতার করা হয়েছে ফুলচাঁদ ও ময়ূরী গোশালার দুই কর্তাকে।
কী কারণে গরুর মৃত্যু তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে এখনও নির্দিষ্ট কারণ জানা যায়নি। তবে চিকিৎসায় গাফিলতিকেই কারণ বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে। গোশালাগুলিতে জায়গার তুলনায় বেশি গরু রাখা হয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। এদিকে আবার গ্রেফতার বিজেপি নেতা হরিশ ভার্মাকে আদালতে পেশ করার সময়ে একদল যুব কংগ্রেস কর্মী তার মুখে কালি ছিটিয়ে দেয়। তাদেরও গ্রেফতার করেছে পুলিশ।