.
সিলেট প্রতিনিধি::
সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলা’র বাঘা ইউপির গোলাপনগর গ্রামের মেয়ে সুমাইয়ার হত্যাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবীতে উতপ্ত হয়ে উঠেছে গোলাপগঞ্জ উপজেলা। প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়েছে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে।
প্রতিবাদে হাজার হাজার মানুষ নেমে এসেছে মাঠে। সভা-সমাবেশ ও মানববন্ধন করে দোষী ব্যক্তিদের শাস্তি দাবী করছে।
গতকাল গোলাপগঞ্জ উপজেলা সদরে ব্যাপক সংখ্যক মানুষের উপস্থিতিতে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়। মানববন্ধনে বক্তারা ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি চেয়েছেন।
উল্লেখ্য, শুক্রবার বিকেলে বাঘা সোনাপুর বাজারে মানববন্ধনউত্তর সমাবেসে গোলাপগঞ্জ উপজেলা সদরে প্রতিবাদ স্বরূপ মানববন্ধনে ডাক দেয়া হয়। শনিবার বিকেল ৪-৩০মিনিটের সময় হাজারও মানুষের উপস্থিতিতে উপজেলা সদরে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
বাঘা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন সভাপতিত্বে বিশিষ্ট সমাজকর্মী মাওলানা জাবেদ আহমদ ও তরুণ সমাজসেবী হিলাল আহমদের যৌথ সঞ্চালনায় প্রতিবাদ মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন গোলাপগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাপতি আব্দুল আহাদ, পৌরসভার কাউন্সিলর রুহিন আহমদ খান, কাউন্সিলর ফজলুল আলম, সাবেক চেয়ারম্যান মহির উদ্দিন, শ্রেষ্ঠ সমবায়ী ব্যক্তিত্ব আরজমন্দ আলী, সাবেক ইউপি সদস্য ও রাজনীতিবীদ আব্দুল কাদির সেলিম, প্রবীন শিক্ষক হারুনুর রশীদ, তরুণ সমাজসেবী হাবিবুর রহমান, সাবেক ছাত্রনেতা হাবিবুল্লাহ দস্তগীর, সাংবাদিক এম.জি মোস্তফা প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গত ১৫ আগষ্ট মঙ্গলবার রাতে গোলাপগঞ্জ উপজেলার বাঘা ইউপির গোলাপনগর এলাকার রজবমারা গ্রামের মৃত ময়বুর রহমানের কন্যা রুহেল আক্তার সুমাইয়া (২৪) শশুর বাড়ী কুচাই গ্রামে তার মৃত্যু হয়। পরদিন ভোরে শশুরবাড়ীর লোকজন সুমাইয়ার পিত্রালয়ের লোকজনকে জানান সুমাইয়া গলায় ওড়না পেচিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু সুমাইয়ার পিত্রালয়ের লোকজন এ মৃত্যুকে স্বাভাবিক হিসেবে মেনে নিতে পারছে না। তাদের বক্তব্য সুমাইয়াকে পরিকল্পিতভাবে খুন করে দায় এড়াতে লাশ ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল। এজন্য তারা সুমাইয়ার স্বামী মাহমুদুল হাসান সুলতানকে দায়ী করছেন।
ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করার বিষয়টি বেশ রহস্যজনক বলে অনেকেই মনে করছেন। সুমাইয়ার ঝুলন্ত লাশের ছবি নিয়েও রহস্যের সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে সুমাইয়ার লাশ যেভাবে ঝুলে ছিলো তাতে অনেকের অভিমত কোন ব্যক্তির পা মাটির উপরে ভর থাকলে মারা যাওয়ার কথা নয়।
সুমাইয়ার হাঁটু ভাঙ্গা লাশের ছবিটি রহস্যের জন্ম দিয়েছে। বিষয়টি বিশেষ করে ফেইসবুকে ভাইরাল হয়ে প্রচারিত হচ্ছে। এতে ক্ষোভে গর্জে উঠেছে সুমাইয়ার জন্মভূমি বাঘা ইউনিয়নের সর্বস্থরের জনগণ, তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে গোলাপগঞ্জের সর্বস্থরের সাধারন ও পেশাজীবি পেশার মানুষ।
.
বার্তা প্রেরক
হাফিজুল ইসলাম লস্কর