২০০০ সালে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে করা মামলায় ফায়ারিং স্কোয়াডে ১০ জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ রবিবার সকালে ঢাকার ২ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল এ রায় ঘোষণা করেন।
একই ঘটনায় করা বিষ্ফোরক মামলায় নয় জনের ২০ বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
হত্যাচেষ্টা ও বিস্ফোরক আইনের এ দুই মামলায় অভিযোগপত্রভুক্ত ২৫ আসামির মধ্যে অন্য একটি মামলায় হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি আবদুল হান্নানের ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। ২০০৪ সালে ব্রিটিশ হাই কমিশনার আনোয়ার চৌধুরীকে হত্যার চেষ্টায় গ্রেনেড হামলার ঘটনায় চলতি বছরের ১২ এপ্রিল তার ফাঁসি কার্যকর করা হয়। এ কারণে তার নাম এ মামলা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। বাকি আসামিদের মধ্যে ১২ জন কারাগারে ও ১২ জন পলাতক।
বোমা উদ্ধারের ঘটনায় কোটালীপাড়া থানার উপপরিদর্শক নূর হোসেন বাদী হয়ে হত্যাচেষ্টা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা করেন। ৬৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ এবং রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে গত ১০ আগস্ট ঢাকার ২ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মমতাজ বেগম রায়ের এ দিন ধার্য করেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০০০ সালের ২০ জুলাই কোটালীপাড়ার শেখ লুত্ফর রহমান মহাবিদ্যালয়ের উত্তর পাশে তখনকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষণের জন্য মঞ্চ নির্মাণের সময় মাটিতে পুঁতে রাখা ৭৬ কেজি ওজনের বোমা পাওয়া যায়। এর দুই দিন পর ওই কলেজমাঠে জনসভায় শেখ হাসিনার ভাষণ দেওয়ার কথা ছিল।
ঘটনা তদন্ত করে ২০০১ সালের ৮ এপ্রিল সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার মুন্সী আতিকুর রহমান ১৬ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এ মামলায় গোপালগঞ্জের আদালত রাষ্ট্রপক্ষের ৪১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ করে।
পরে ২০০৯ সালের ২৯ জুন নতুন করে নয়জনকে অন্তর্ভুক্ত করে সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। মামলার গুরুত্ব বিবেচনায় দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ২০১০ সালের সেপ্টেম্বরে মামলা দুটি ঢাকার তিন নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়।